উৎকৃষ্ট বস্তু যাকাত দেওয়া উত্তম
নিজস্ব প্রতিবেদক
🕐 ৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ, মে ০৮, ২০২১
যাকাত দিলে সম্পদ কমে না বরং বাড়ে। যাকাত আরবি শব্দ যার অর্থ বর্ধন এবং পবিত্রতা। যাকাতকে মৌলিক সম্পদের ময়লা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাই এসব ময়লা দূর করে নিজের সম্পদকে পবিত্র করা অতীব জরুরি।
সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানদের নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই বছরে একবার জাকাত দেওয়া ফরজ। পবিত্র কোরআনে নামাজের সঙ্গে সঙ্গে যাকাতের কথা বারবার এসেছে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নামাজ কায়েম কর, জাকাত প্রদান কর এবং রাসুলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও।’ (সূরা নূর : আয়াত ৫৬)। অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৪৩)।
আজকাল তো মার্কেটে জাকাতের শাড়ি আর লুঙ্গি পাওয়া যায়। এই শাড়ি আর লুঙ্গি যারা পরবেন তাদের মনে করা হয় ভিন্ন প্রজাতির মানুষ। অথচ কোরআন ও হাদিসে কখনো এমনভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়নি জাকাত গ্রহীতাদের। যাকাত গ্রহীতার অধিকারই হলো এই শাড়ি বা লুঙ্গি। যে শাড়ি পরা যাবে না, তিন দিন পরে নষ্ট হয়ে যাবে- এমন শাড়ি লুঙ্গি দেওয়ার তো কোনো মানে নেই। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা জমি থেকে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দিই তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু দান কর আর তা থেকে নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করার সংকল্প কর না: কেননা, তোমরা তা কখনো গ্রহণ করবে না।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৬৭) যাকাত গ্রহীতাদের চূড়ান্ত তালিকা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজেই কোরআন মাজিদে উপস্থাপন করেছেন।
আল্লাহ বলেন, ‘কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত আদায়কারী, যাদের চিত্তাকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং এ দাস মুক্তির জন্য, ঋণভারাক্রান্তদের, আল্লাহর পথের (জিহাদকারীদের) জন্য আর মুসাফিরদের জন্য। এ হলো আল্লাহ নির্ধারিত বিধান আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা তাওবা : আয়াত ৬০)। যিনি যাকাত দেবেন সে ব্যক্তির জন্য যাকাত দেওয়ার সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো পবিত্র রমজান মাস। বছরের অন্য যেকোনো সময় যাকাত দেওয়ার তুলনায় রমজানের গুরুত্ব অনেক।