ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পবিত্র কাবা শরিফের ‘মাকামে ইব্রাহিম’র স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
🕐 ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ০৬, ২০২১

পবিত্র কাবা শরিফের ‘মাকামে ইব্রাহিম’র স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ

সৌদি আরবের মক্কার কেন্দ্রীয় মসজিদে ‘মাকামে ইব্রাহিম’ বা ইব্রাহিমের স্টেশন’র ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যা এর আগে কখনো প্রকাশ করা হয়নি। নতুন কৌশল ব্যবহার করে মাকামে ইব্রাহিমের বিস্তৃত ছবি তুলেছে মক্কা ও মদিনার দুই মসজিদের দায়িত্বে থাকা জেনারেল প্রেসিডেন্সি। খবর আল-আরাবিয়াহর।

বুধবার (৫ মে) আল-আরাবিয়া সংবাদের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

কাবা শরিফের পাশেই আছে ক্রিস্টালের একটা বাক্স, চারদিকে লোহার বেষ্টনী। ভেতরে বর্গাকৃতির একটি পাথর। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান-প্রায় এক হাত। এই পাথরটিই মাকামে ইব্রাহিম। মাকাম শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে দাঁড়ানোর স্থান। অর্থাৎ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দাঁড়ানোর স্থান। এই পাথরে দাঁড়িয়ে তিনি ঠিক কী কাজ করতেন, তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে তিনি এর ওপর দাঁড়িয়ে কাবা শরিফ নির্মাণ করেছেন-এটি সবচেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য।

হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মু’জিজার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তাঁর পায়ের দাগ বসে যায়। আজও আছে সেই ছাপ। তামা ও আয়নার তৈরি বাক্সে রাখার আগ পর্যন্ত মানুষ পাথরটি হাতে ধরে দেখার সুযোগ পেয়েছে। এখন শুধু দেখা যায়, ধরা যায় না। মানুষের হাতের স্পর্শে ও জমজমের পানি দিয়ে ধোয়ায় পাথরটির ভেতরে কিছুটা ডিম্বাকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

চার হাজার বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মাকামে ইব্রাহিমে এখনো পায়ের চিহ্ন অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। ওপরে প্রতিটি ছাপের দৈর্ঘ্য ২৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১৪ সেন্টিমিটার। পাথরের নিচের অংশে রুপাসহ প্রতিটি পায়ের দৈর্ঘ্য ২২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১১ সেন্টিমিটার। দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান প্রায় এক সেন্টিমিটার।

পাথরটিতে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পায়ের দাগের গভীরতা পাথরটির উচ্চতার অর্ধেক, ৯ সেন্টিমিটার। দীর্ঘদিন ধরে লাখ লাখ মানুষের হাতের স্পর্শে আঙুলের চিহ্নগুলো মুছে গেছে। তবে ভালো করে খেয়াল করলে এখনো আঙুলের ছাপ বোঝা যায়। বোঝা যায় পায়ের গোড়ালির চিহ্ন। মাকামে ইব্রাহিমের কাছে বাঁ ঘেঁষে অনেক মুসল্লি নামাজ পড়েন, অনবরত চলে তাওয়াফ।

এর আগ হাজরে আসওয়াদের স্বচ্ছ ছবি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। হাজরে আসওয়াদের আভিধানিক অর্থ কালো পাথর। মুসলমানদের কাছে এটি অতি মূল্যবান ও পবিত্র। আগে এটি ছিল আস্ত একটা পাথর।

হজরত আবদুল্লাহ বিন জোবায়েরের শাসনামলে কাবা শরিফে আগুন লাগলে হাজরে আসওয়াদ কয়েক টুকরা হয়ে যায়।

আবদুল্লাহ বিন জোবায়ের পরে ভাঙা টুকরাগুলো রূপার ফ্রেমে বাঁধিয়ে দেন। ফ্রেম সংস্করণের সময় চুনার ভেতর কয়েকটি টুকরা ঢুকে যায়। বর্তমানে হাজরে আসওয়াদের আটটি টুকরা দেখা যায়।

 

 

 

 
Electronic Paper