ধর্মে বিশ্বাস ও বিশ্বাসহীনতা
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৮:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ০১, ২০১৮
আধুনিক যুগ সময়ের বিচারে দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগ বিংশ শতাব্দীর সঙ্গে যার সমাপ্তি ঘটে। সেই যুগে জ্ঞান ও চার্চের মধ্যে এক তুমুল সংঘর্ষের পর জ্ঞানের জয় হয়। আর চার্চের সঙ্গে স্রষ্টার ধারণাকেও প্রত্যাখ্যান করা হয়। কেননা সেই সময় পর্যন্ত মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল, ‘দুনিয়ার যত অকল্যাণের জড় ধর্ম যা থেকে আমরা জীবন ছাড়িয়ে নিয়েছি’।
ফলে একদিকে পশ্চিমা সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক গণ্ডিতে ধর্ম অপরিচিত হয়ে ওঠে। অপরদিকে কমিউনিজমের বিজয়ের পর সোভিয়েত ইউনিয়নে সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসকে জোর করেই অস্বীকারের ওপর ভিত্তি করে এক উৎপীড়নকর শাসনের প্রতিষ্ঠা হয়। তথাপি বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে দুইটি বিশ্ব যুদ্ধে মারা পড়া কোটি কোটি মানুষ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে স্টালিন কর্তৃক হত্যাকৃত কয়েক মিলিয়ন মানুষের লাশ বহনের পর মানুষের এ অনুভূতি হয়- দুনিয়ার অবস্থা যতটা খারাপ ছিল ধর্মের সঙ্গে, তার চেয়ে বেশি খারাপ ধর্মহীনতার পরে হয়ে গেছে।
তাই ধর্মকে আরও একবার ব্যক্তি পর্যায়ে কবুল করে নেওয়া হয়। আজকের দিন পর্যন্ত এ প্রবণতা বাড়ছে। তথাপি মানুষের বিশ্বাসে এ ধর্ম এখন কোনো বাস্তবতা বা চূড়ান্ত সত্যের নাম হিসেবে নেই। এটা কেবল একটা সাংস্কৃতিক প্রকাশ- যাকে বেশি থেকে বেশি একটি মানবিক প্রয়োজন বলা যায়।
এ ধর্মে মহান আল্লাহকে স্বীকার করা হয়, কিছু প্রথাগত ইবাদতও আদায় করে নেওয়া হয়, কিন্তু বাস্তবে প্রায়োগিক জীবনের কাঠামোতে তার আবশ্যিক প্রবেশ ঘটানো হয় না।