ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ইসলামে ‘হারাম’ বিষয়...

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ১:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

মহান আল্লাহতাআলা স্বীয় বান্দাদের ওপর কিছু জিনিস ফরজ করেছেন, যা পরিত্যাগ করা জায়েজ নয়, কিছু সীমা বেঁধে দিয়েছেন, যা অতিক্রম করা বৈধ নয় এবং কিছু জিনিস হারাম করেছেন, যার ধারে কাছে যাওয়াও ঠিক নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতাআলা তার কিতাবে যা হালাল করেছেন তা হালাল, যা হারাম করেছেন তা হারাম, আর যে বিষয়ে তিনি নীরব থেকেছেন তা ক্ষমা।

সুতরাং তোমরা আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমাকে গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহতাআলা বিস্মৃত হন না।’ তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করেন, ‘তোমার রব বিস্মৃত হন না’। (সুরা মারইয়াম, আয়াত-৬)। এ হারামগুলোই আল্লাহতাআলার সীমারেখা। আল্লাহ বলেন, ‘এসব আল্লাহর সীমারেখা। সুতরাং তোমরা এগুলোর নিকটেও যেয়ো না।’ (সুরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৭)।
শরিয়তে যখন হারাম আছে তখন সব মুসলিমের জন্যই তার মধ্যে যে গূঢ় রহস্য বা তত্ত্ব লুকিয়ে আছে তা জানা দরকার। যেমন- আল্লাহতাআলা হারাম দ্বারা তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। তারা এ সম্পর্কে কেমন আচরণ করে তা তিনি লক্ষ করেন।
কে জান্নাতবাসী হবে আর কে জাহান্নামবাসী হবে হারামের মাধ্যমে তা নির্ণয় করা চলে। যারা জাহান্নামি তারা সর্বদা প্রবৃত্তির পূজায় মগ্ন থাকে, যা দিয়ে জাহান্নামকে ঘিরে রাখা হয়েছে। আর যারা জান্নাতি তারা দুঃখ-কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে, দুঃখ-কষ্ট দিয়ে জান্নাতকে বেষ্টন করে রাখা হয়েছে। এ পরীক্ষা না থাকলে বাধ্য থেকে অবাধ্যকে পৃথক করা যেত না।
যারা ইমানদার তারা হারাম ত্যাগজনিত কষ্ট সহ্য করাকে সাক্ষাৎ পুণ্য এবং আল্লাহতাআলার যে কোনো নির্দেশ পালনকে তার সন্তুষ্টি লাভের উপায় বলে মনে করে। ফলে কষ্ট স্বীকার করা তাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।

 
Electronic Paper