অফিসের কাজে অবহেলা
মুহাম্মাদ ফয়জুল্লাহ
🕐 ১:২৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০১৮
ইসলামে কাজ ও কর্মকে সুচারুরূপে সম্পন্ন করার জন্য জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আন্তরিকতার পাশাপাশি দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিপূর্ণ প্রয়োগ ও বিকাশের মাধ্যমে পেশাগত মান নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যা ইচ্ছে তাই বা গা-ছাড়া গোছের অথবা দায়িত্বে অবহেলার সুযোগ ইসলামে নেই। প্রতিটি ব্যক্তি তার কর্ম, পেশা ও দায়িত্বের ব্যাপারে মহান আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হবেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল আর প্রত্যেককেই (কেয়ামতের ময়দানে) তার দায়িত্বশীলতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি-৮৪৪)।
আপনি যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট মাসিক প্রদেয়র বিনিময়ে চাকরিতে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন, চুক্তির শর্তানুযায়ী, সে প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টায় আপনার মেধা ও শ্রম দিতে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছেন। বরং আরও সঠিক তো হলো উক্ত প্রদেয়র বিনিময়ে নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টায় আপনি আপনার মেধা ও শ্রম বিক্রি করেছেন। একজন চাকরিজীবী তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে সম্পাদন করা পবিত্র আমানত। ইসলামে চুক্তি রক্ষা, বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার মাঝে আমানতদারিতা নেই, তার ইমানও নেই। আর যে ওয়াদা পালন করে না তার মাঝে দ্বীন নেই।’ (বুখারি)। পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা তোমাদের চুক্তিসমূহ পূর্ণ কর।’ (সুরা আল-মায়িদাহ-১)।
অতএব, আপনি আপনার ওয়াদা রক্ষা করা ও আমানতকে তার মালিকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আল্লাহ কর্তৃক আদিষ্ট। এ আদেশ পালন করা আপনার ওপর ফরজ দায়িত্ব। আপনি যদি এ ক্ষেত্রে অবহেলা করেন, এর জন্য আপনি কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হবেন। এ দায়িত্ব যথাযথরূপে পালন আপনার কাছে অফিস কর্তৃপক্ষের প্রাপ্য অধিকার। সাধ্যের মধ্যে এর হেরফের হলে পরকালে অপরাধী হিসেবে ধৃত হবেন।