ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুসলমানের বিজ্ঞান অনগ্রসরতা

মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ
🕐 ৬:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৪, ২০১৮

অবসর সময়ে যে আলোচনাগুলো মুখরোচক হয়ে ওঠে তার মধ্যে একটি হচ্ছে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের অনগ্রসরতা। প্রায়শ কথাটা এভাবে বলা হয়, ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনগ্রসর বলেই মুসলমানদের এ দুর্গতি।’

এটা ঠিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পাশ্চাত্যের তুলনায় প্রাচ্য পিছিয়ে রয়েছে। সেই অনগ্রসরতাই এ জাতির দুর্গতি ও পরাধীনতার কারণ নয়।  এ প্রসঙ্গে দুটি বিষয়ে চিন্তা করা যায়। এক, আধুনিক শিক্ষাব্যবন্থায় মুসলমানদের অংশগ্রহণ, দুই, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলমানদের পারদর্শিতা। বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। তবে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাই এ দেশের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত শিক্ষার মূলধারা। অতএব দেশের সিংহভাগ শিক্ষার্থী আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষাগ্রহণ করছে। এটি শুধু বাংলাদেশের কথা নয়, সব মুসলিম দেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত। তদ্রূপ যেসব দেশে মুসলিমরা সংখ্যালঘু সেখানকার পরিসংখ্যান গ্রহণ করলেও একই চিত্র পাওয়া যাবে। সেসব দেশের অভিবাসী মুসলিম অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় শিক্ষাধারার সঙ্গেই জড়িত এবং বলাবাহুল্য তা আধুনিক শিক্ষা। তাহলে কীভাবে বলা যায়, মুসলিম-সমাজে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা নেই? কোনো শিক্ষিত মুসলমান যখন এমন কথা উচ্চারণ করেন তখন একটি মারাত্মক আশঙ্কা উঁকি দেয়, তাহলে কি মুসলমান অবচেতন মনে নিজের পরিচয়ও ভুলতে বসেছে? তারা কি শুধু মসজিদ-মাদ্রাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই মুসলমান বলে ভাবতে শুরু করেছেন?
দ্বিতীয় প্রসঙ্গ অর্থাৎ আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের পারদর্শিতার বিষয়টিও এখান থেকে প্রমাণিত হয়। যেহেতু সিংহভাগ মুসলিম আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞান অর্জন করছে তাই মুসলিম সমাজে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

 
Electronic Paper