ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন- অর্থ: আমরা ভীতি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই নিদর্শনাবলি প্রেরণ করি। (সূরা ইসরা-৫৯)। চন্দ্র, সূর্য, এই আসমান, জমিনসহ সমস্ত মাখলুকাত আল্লাহতায়ালার সৃষ্টি। সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহতায়ালার কুদরতের দুটি অন্যতম নিদর্শন। মোটকথা সবকিছুই আল্লাহতায়ালার অপার কুদরতের নিশানা।

জাহিলিয়াতের জামানায় লোকেরা মনে করত বড় কোনো ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে মনে হয় সূর্যগ্রহণ লাগে। মুগিরা ইবনু শু’বা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের মৃত্যুর দিনটিতে সূর্যগ্রহণ হলো। তখন আমরা সবাই বলাবলি করছিলাম যে, নবীপুত্রের মৃত্যুর কারণেই এমনটা ঘটেছে।

আমাদের কথাবার্তা শুনে রসুল (সা.) বললেন : সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারও মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা তা দেখবে তখন তোমরা আল্লাহর নিকট দুআ করবে। তাঁর মহত্ত্ব ঘোষণা করবে এবং সলাত আদায় করবে ও সাদাকা প্রদান করবে (বুখারি ও মুসলিম)।

সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণ-কেন্দ্রিক কুসংস্কার : সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে কিছু কুসংস্কার, বিভ্রান্তি ও অমূলক ধারণা রয়েছে। ‘এ সময় খাওয়া-দাওয়া করা যাবে না’। ‘গর্ভবতী মায়েরা ঘরের কাজকর্ম করতে পারবে না’।

সমাজে আরও নানা রকমের কুসংস্কারমূলক কথা প্রচলিত রয়েছে। মূল কথা হচ্ছে, চন্দ্র বা সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী মায়েদের ভয় কিংবা আশঙ্কার কিছু নেই। অন্যদিনের মতো পানাহারসহ স্বাভাবিক সব কাজকর্ম করতে পারবেন। লোকমুখে যা শোনা যায়, সব ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কার।

 
Electronic Paper