ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বিশ্বনবী যেভাবে কথা বলতেন

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২০

মানুষের কথা হবে সাজানো গোছানো। শব্দে-শব্দে, অক্ষরে-অক্ষরে থাকবে না কোনো জড়তা। কথা হবে সুস্পষ্ট। আর তাতে শ্রোতা তার পুরো উদ্দেশ্য বুঝতে সক্ষম হবে। কথা শুনেও মজা পাবে মানুষ। সুন্দরভাবে কথা বলাও মানুষের একটি উত্তম গুণ। বিশ্বনবীর কথা বলার ধরনেও রয়েছে উম্মতের জন্য শিক্ষা। বিশ^নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বোত্তম ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতেন।

তিনি ছিলেন ঝাওয়ামিউলি কালিম। তিনি কথা বলতেন কম। কিন্তু তা ছিল ব্যাপক অর্থবোধক। তাইতো মানুষ কথা বলবে কম, কিন্তু কথার অর্থ হবে, আবেদনমূলক, বোধগম্য ও সুন্দর। এমনভাব কথা বলা যাবে না, যে কথা শ্রুতি মধুর নয় এবং জড়তায় একাকার। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্দর ও গোছানোভাবে ধীরে ধীরে কথা বলতেন। কথায় ছিল না কোনো তাড়াহুড়ো কিংবা জড়তা।

হাদিসে পাকে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা বলার ধরনও ওঠে এসেছে। যা উম্মতের জন্য শিক্ষণীয় ও পালনীয়। আর তাহলো-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমাকে ‘জাওয়ামিউল কালিমসহ (সুসংক্ষিপ্ত ও মর্মসমৃদ্ধ বাণীসহ) প্রেরণ করা হয়েছে এবং আমাকে প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।

একবার আমি ঘুমের অবস্থায় দেখলাম, পৃথিবীর ভান্ডারগুলোর চাবি আমাকে দেওয়া হয়েছে এবং তা আমার হাতে রেখে দেওয়া হয়েছে।’ (বুখারি) ইমাম যুহরি রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদিসটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন সংক্ষিপ্ত কথা বলতেন যা শব্দ বা উচ্চারণের দিক থেকে হতো অল্প কিন্তু ব্যাপক অর্থবোধক।’

আল্লাহতাআলা মুসলিম উম্মাহকে বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মতো গোছানো সুস্পষ্ট সুসজ্জিত ও মার্জিত কথা বলার তাওফিক দান করুন। সুন্নাতের অনুসরণ ও অনুকরণে জীবন সাজানোর তাওফিক দান করুন। আমিন।

 
Electronic Paper