এক নিঃশব্দ নদীর কথা কী দান করব, কেন করব?
নাবিলা সিদ্দিকী, উলিপুর, কুড়িগ্রাম
🕐 ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
শুধু বস্তুগত সম্পদের মধ্যেই দানের পরিধিকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়নি। এর বাইরেও এমন অনেক কিছু দান করার আছে, যা কখনো কখনো হয় বস্তুগত সম্পদেরও চেয়েও বেশি। ভাইবোনদের আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি অধিক প্রয়োজন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানসিক সমর্থন।
আমরা হয়তো সব সময় সম্পদ দান করতে পারব না বা তাদের প্রয়োজনকে পূরণ করতে পারব না। কিন্তু আমাদের হাতে রয়েছে তাদের জন্য দোয়া করার, সহানুভূতি জানানো এবং কিছু সান্ত্বনাদায়ক কথা বলার সুযোগ। কথায় তাদের মনে প্রশান্তি আনার ক্ষমতা।
আপনি যদি আপনার উপর আল্লাহর নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে দান করতে চান, তবে আপনার সেই দান হবে সর্বোত্তম। আবার যদি দান করেন সমাজের দরিদ্রদের প্রতি আপনার দায়িত্ববোধ থেকে অথবা তাদের প্রতি আপনার আত্মীয়তার বন্ধন থেকে অথবা এটি একটি সৎকাজ হিসেবে আল্লাহর কাছ থেকে পুরস্কার লাভের আশায়, তবে আপনার দান অর্থবহ ও কল্যাণকর হবে। কেননা এটি আন্তরিকতার সঙ্গে হয়েছে। কিন্তু যদি আপনার দান হয় শুধু লোক দেখানোর জন্য বা লোকের উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য, তবে দান আপনার জন্য কোনো উপকারই করবে না। কোরআনে আল্লাহ বলেন, তারা আল্লাহর ভালোবাসায় অভাবগ্রস্ত, এতিম ও বন্দিকে আহার্য দান করে। তারা বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদের আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না। পালনকর্তার তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি। (সূরা দাহর, আয়াত-৮-১০)। দানের জন্য অবশ্যই আমাদের দানের উদ্দেশ্যকে বিবেচনা করতে হবে।
যখন কাউকে কিছু উপহার দেন, কীভাবে দেন? নিজের আচরণ তখন কেমন হয়? সম্মান ও ভদ্রতা বজায় রাখেন? যাকে উপহার দিচ্ছেন, তার প্রতি আপনার বিনয়কে প্রকাশ করেন? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রদর্শন করেন? নাকি আপনি অবমাননাকর আচরণ করেন? উপহারের কথা বড়াই করে তার কাছে প্রকাশ করেন?
যখন কাউকে কিছু দান করবেন, আপনার উচিত তা ভদ্রতা ও বিনয়ের সঙ্গে প্রদান করা। ঘৃণাপূর্ণ মন নিয়ে কখনই দান করবেন না। বলা যায় না, আল্লাহ কখন আপনার অবস্থা পরিবর্তন করে দেন।