আন্তরিকভাবে কবুল না বললে কি বিয়ে হবে?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
পাঠকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন মুফতি জিয়াউর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, ইসলামিক ফিকহ ইনস্টিটিউট, সিলেট।
প্রশ্ন : আমার এক পরিচিত এক মেয়ের তার বিয়ে নিয়ে সন্দেহে আছে। বিয়ের সময়, সে তার হবু স্বামী এবং শ^শুরবাড়ির কিছু মানুষের আচরণে বিয়েতে খুশি ছিলো না। সামাজিক কারণে সে বিয়ে থেকে পিছিয়েও আসতে পারেনি। কবুল পড়ানোর সময় মনে মনে আল্লাহকে বলেছে, তুমি সাক্ষী, আমি এই বিয়েতে রাজি না। সে এরপর মুখে তিনবার কবুল বলে এবং সাইনও করে। তার বিয়েটা কি বৈধ?
উত্তর : বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। বিয়ে-পরবর্তী জীবনে এই বন্ধনকে সুদৃঢ় করে রাখার স্বার্থেই বিয়ের আগে একে অপরকে দেখে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সম্মত হলে বিয়েতে রাজি হবেন, নতুবা হবেন না। ওই বোন বিয়েতে সম্মত ছিলেন। মনে মনে রাজি না থাকলেও তিনি চুপ থেকেছেন। বিয়েতে সরাসরি অমত করেননি। এটাই সম্মতি। তাছাড়া অনুমতি নেওয়ার সময় তার অসম্মতি প্রকাশ করেননি। তাই কবুল বলার সঙ্গে সঙ্গে তার বিয়ে হয়ে গেছে। হাদিসে আছে- আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোনো বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কেমন করে তার (কুমারীর) অনুমতি নেওয়া হবে? তিনি বললেন, চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি। (বুখারী-৫১৩৬ ও মুসলিম-১৪১৯)।
আরেকটি হাদিসে এসেছে- তিনটি বিষয় এমন রয়েছে, বাস্তবে করা এবং ঠাট্টাচ্ছলে দুই-ই সমান। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে- বিয়ে, দ্বিতীয়টি হচ্ছে- তালাক, তৃতীয়টি হচ্ছে- রাজ’আত তথা এক বা দুই তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে তার ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে ফিরিয়ে নেওয়া। (আবু দাঊদ-২১৯৪, তিরমিযী-১১৮৪)।
এখন তার করণীয় হলো, বিয়েটা মেনে নেওয়া। স্বামীকে তার প্রাপ্য আদায় করা। সংসারে মনোযোগী হওয়া। আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট হওয়া।