মহানবীর (সা.) দানশীলতা কেমন ছিল?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
মনজুরুল ইসলাম চৌধুরী, বহদ্দারহাট, চট্টগ্রাম
মহানবীর (সা.) দানশীলতা, উদারতা ও বদান্যতায় ছিলেন সর্বোচ্চ উদাহরণ। জাবের বিন আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহর (সা.) এর কাছে কিছু চাওয়া হলে তিনি না বলতেন না।
আনাছ বিন মালেক (রা.) বলেন, রাসুলের (সা.) কাছে কিছু চাওয়া হলে তিনি দিয়ে দিতেন। এক ব্যক্তি রাসুলের (সা.) কাছে চাইল, তিনি তাকে দুই পাল ছাগলের মধ্য থেকে এক পাল দিয়ে দিলেন। সে লোক নিজ গোত্রে এসে বলল, হে গোত্রের লোকরা! তোমরা মুসলমান হয়ে যাও, কেননা ‘মোহাম্মদ এমন ব্যক্তির ন্যায় দান করে যে দারিদ্র্যের ভয় করে না’। (সহিহ মুসলিম-৪২৭৫)।
রাসুলের (সা.) বদান্যতার ব্যাপারে আব্বাস (রা.) উক্তিই যথেষ্ট। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মাঝে অধিকতর দানশীল। তিনি রমজান মাসে অধিক দান করতেন যখন জিবরাইল তার কাছে ওহি নিয়ে আসতেন, তাকে কোরআন শিক্ষা দিতেন। নিঃসন্দেহে রাসুল (সা.) মুক্ত বায়ুর চেয়ে অধিক দানশীল ছিলেন।
মুক্ত বায়ুর তুলনায় রাসুলের দানশীলতা অধিক এ তুলনার মর্মার্থ হচ্ছে, বায়ুমুক্ত হলেও তার যেমন কিছু কিছু দুর্বলতা থাকে, যেমন সে পৌঁছতে পারে না আবদ্ধ ঘরে, রাসুলের দানশীলতার তেমন কোনো দুর্বলতা নেই। তার দানশীলতা পৌঁছে যেত সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে।
কে আপনার বন্ধু : একটি সুন্দর জীবনের প্রয়োজনেই পারস্পরিক বন্ধুত্বের সূচনা হয়। তাছাড়া এটি মানবজীবনের সহজাত প্রবৃত্তিও। ভালো বন্ধু কল্যাণময় সুন্দর জীবনের পথে সহায়ক। বন্ধু যদি খারাপ হয়, সে-ই হয় জীবনের বহু অকল্যাণের কারণ।
বন্ধু-বান্ধব এতই প্রভাবশালী, কোনো বন্ধু ইচ্ছা করলেই অপর বন্ধুকে দিয়ে যে কোনো ভালো কাজ বা কোনো অঘটন ঘটাতে পারে। এ ব্যাপারে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি প্রভাবক। তারা পুরুষের চেয়ে বেশি নিজ বান্ধবী কর্তৃক প্রভাবিত হয়। এ কারণেই বন্ধু-বান্ধব বাছাইয়ের সময় খুবই সতর্কতা অবলম্বন কাম্য।
বন্ধু-বান্ধব যেন দীনদার ও সচ্চরিত্রবান হয়। যাতে একে অপরকে ভালো কাজে সহযোগিতা করতে পারে। কেউ গাফেল হলে অন্যজন তাকে ভালো কাজে পুনরায় উদ্যোগী করতে পারে। কেউ পথভ্রষ্ট হলে অন্যজন তাকে সতর্ক করতে পারে।