ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ঝামেলামুক্ত জীবন কীভাবে পাব?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ০৭, ২০২০

মোখলেসুর রহমান চৌধুরী, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
ইমাম আবু হামিদ আল-গাজ্জালির সমগ্র রচনায় আমরা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপদেশের সমাহার লক্ষ করি। ‘শিষ্যের প্রতি চিঠি’ মূল্যবান জীবনোপদেশ সংবলিত তার এমনই একটি রচনা। এটি মূলত তার একজন শিষ্যের চিঠির জবাব, যাতে কয়েকটি অমূল্য উপদেশ দান করেছেন।

বিতর্ক পরিহার : যথাসাধ্য সম্ভব বিতর্ক পরিহার করে চলা। বিশেষ করে, অজ্ঞ ও মূর্খ লোকের সঙ্গে অযথা বিতর্কে জড়িয়ে পড়া থেকে বিজ্ঞ ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা এবং তার জ্ঞান থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য ইমাম তার শিষ্যকে উপদেশ দিয়েছেন।

খ্যাতি লাভের ইচ্ছা পরিহার : শিষ্যের প্রতি ইমাম গাজ্জালির দ্বিতীয় উপদেশ হলো, খ্যাতি লাভের ইচ্ছাকে পরিহার করা। কেননা, এটি মানুষকে মানুষের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে এবং এর ফলে কাজের জন্য কাজ করার আন্তরিকতা তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে না।

শাসকদের পরিহার : ইমাম গাজ্জালির তার শিষ্যের প্রতি তৃতীয় উপদেশ হচ্ছে, শাসকদের পরিহার করে চলার। কেননা তাদের সঙ্গে যে কারও সংযোগ, মেলামেশা ও সামাজিকতা ওই ব্যক্তির জন্য জটিলতর ও বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

শাসকদের উপহার পরিহার : পারস্পরিক উপহারের আদান-প্রদান অনুমোদিত হলেও শাসক এবং সমাজের উচ্চস্তরের ব্যক্তিদের কাছ থেকে উপহার ও অর্থকে পরিহার করার জন্য ইমাম গাজ্জালি তার শিষ্যকে উপদেশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ব্যক্তি উপহার দানকারীর প্রভাবাধীনে চলে যেতে পারে।

প্রত্যাশা অনুযায়ী আল্লাহর হক আদায় : আল্লাহর সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক তৈরি করার উপদেশ ইমাম গাজ্জালি তার শিষ্যকে দিয়েছেন, যাতে নিজের অনুগত কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে প্রত্যাশিত সম্পর্ক অনুযায়ী এ সম্পর্ক গঠিত হয়।

প্রত্যাশা অনুযায়ী অপরের সঙ্গে আচরণ : নিজের জন্য প্রত্যাশিত আচরণ অনুযায়ী অন্যের সঙ্গে আচরণ করার জন্য ইমাম গাজ্জালি তার শিষ্যকে উপদেশ দিয়েছেন। রসুল (সা.)-এর হাদিস অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির ইমান সম্পূর্ণ হতে পারে না যদি না ওই ব্যক্তি নিজের জন্য যা চায়, অপরের জন্য তা না চায়।

 
Electronic Paper