খাবার গ্রহণের সহজ সুন্নাহ কী?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ০৬, ২০২১
খাদ্য-পানীয় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি বিশেষ নেয়ামত। এ নেয়ামতকে তিনি পৃথিবীতে সৃষ্টজীবের বেঁচে থাকার জন্য স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জীবনের অন্য সবকিছুর মতো ইসলাম এখানেও আমাদের কিছু শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়। খাবার গ্রহণের সহজ ৬টি শিষ্টাচার হচ্ছে-
বিসমিল্লাহ বলে খাবার শুরু করা, কষ্ট করে যে রেঁধেছে তাকে খুশি করা, সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার না করা, পাত্রের মাঝখান থেকে না খাওয়া, খাবারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ ও শেষে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা, পড়ে যাওয়া খাবার উঠিয়ে পরিষ্কার করে খাওয়া।
আমর বিন আবু সালামা থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সা.) তাকে বলেছেন- ‘হে বৎস, বিসমিল্লাহ বল এবং ডান হাত দিয়ে খাও। খাবার পাত্রের যে অংশ তোমার সঙ্গে লাগানো সে অংশ থেকে খাও।’
খাবারের প্রশংসা করা মুস্তাহাব, খাবার আয়োজন ও রাঁধুনির জন্য কিছুটা ভালো লাগা কাজ করে এতে। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হবে। রাসুল (সা.) কখনো কখনো এমন করতেন- জাবের (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) স্বীয় পরিবারের কাছে তরকারি চাইলেন। তারা বললেন, আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া আর কিছু নেই। তিনি সিরকা আনতে বললেন এবং তা দিয়েই খেতে লাগলেন। অতঃপর বললেন, সিরকা কতই না উত্তম তরকারি; সিরকা কতইনা উত্তম তরকারি। (মুসলিম-৩৮২৪)।
সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার করতে নবী করীম (সা.) নিষেধ করেছেন। কারণ এতে অহংকার চলে আসে, যা আল্লাহ খুব অপছন্দ করেন। মহানবী (সা.) বলেছেন- ‘তোমরা সোনা-রুপার পাত্রে পানাহার করো না এবং রেশম ও রেশমি পোশাক পরিধান করো না। দুনিয়াতে এসব কাফিরদের জন্য আর পরকালে তোমাদের জন্য।’ (বুখারি, হাদিস-৫৬৩৪)।
যে ব্যক্তি রুপার পাত্রে পানাহার করে, সে ব্যক্তি নিজ উদরে জাহান্নামের আগুন পূর্ণ করে। (মুসলিম, হাদিস-২০৬৫)।
কোনো মজলিশে বা বাসায় একত্রে খেতে বসলে পাত্রের একদম মাঝখান থেকে খাওয়া অনুচিত। বরং নিজের কাছে রাখা পাত্র বা এক পাশ থেকে খাবার খাওয়া উচিত। মহানবী (সা.) বলেছেন- ‘খাদ্যের মধ্যস্থলে বরকত নাজিল হয়। সুতরাং তোমরা পাশ থেকে খাও, মধ্যস্থল থেকে খেও না।’ (আবু দাউদ, হাদিস-৩৭৭২; তিরমিজি, হাদিস-১৮০৫)।