ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আত্মহত্যাকারীর সাজা কী?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০১৯

প্রশ্নটি করেছেন মেহবুবা ইয়াসমিন, ভালুকা, ময়মনসিংহ থেকে

আত্মহত্যা করা বিশাল গুনাহর কাজ। কেউ যখন আত্মহত্যা করে তখন সে নিজেকে আল্লাহর গজব ও ক্রোধের শিকারে পরিণত করে। তবে ইমানদার হয়ে থাকলে সে আল্লাহর ইচ্ছাধীন। কারণ আত্মহত্যা কবিরাহ গুনাহ হলেও কোনো শিরকি কাজ নয়। একমাত্র শিরকই এমন গুনাহ, আল্লাহ যা ক্ষমা না করার ঘোষণা দিয়েছেন।

মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করেন না তার সঙ্গে শরিক করাকে এবং এ ছাড়া যাকে চান ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করল, সে তো গুরুতর অপবাদ আরোপ করল (নিসা-৪৮)।’

উক্ত আয়াত থেকে আমরা জানলাম, শিরক ছাড়া যত গুনাহ আছে তার শাস্তি দেওয়া না দেওয়া আল্লাহর ইচ্ছাধীন বিষয়। আর আত্মহত্যা শিরক নয়। তেমনি জেনা, চুরি, মদ্য পান- সবকিছুই কবিরাহ গুনাহ বটে। তবে সেসব শিরক নয়। কেউ যখন এসব গুনাহে লিপ্ত হয়ে মারা যাবে আল্লাহ চাইলে তাকে ক্ষমা করবেন- তার নেক কাজগুলোর বদৌলতে কিংবা ইসলামে বিশ্বাসের ভিত্তিতে। আর তিনি চাইলে তার অপরাধ অনুপাতে শাস্তি দেবেন। অতঃপর সে গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার পর জাহান্নাম থেকে বের হবে।

‘আত্মহত্যাকারী চিরস্থায়ী জাহান্নামি হবে’-এমন ধারণা যে হাদিস থেকে সৃষ্টি হয় তাতে মূলত রসুলুল্লাহ (সা.) আত্মহত্যার ভয়াবহ শাস্তির কথা বলেছেন।

রসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি পাহাড়ের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের আগুনে পুড়বে, চিরদিন সে জাহান্নামের মধ্যে অনুরূপভাবে লাফিয়ে পড়তে থাকবে। যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করবে, তার বিষ জাহান্নামের আগুনের মধ্যে তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে জাহান্নামের মধ্যে তা পান করতে থাকবে, যে ব্যক্তি লোহার আঘাতে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের মধ্যে লোহা তার হাতে থাকবে, চিরকাল সে তার দ্বারা নিজের পেটে আঘাত করতে থাকবে (সহিহ বুখারি, সুনানে নাসায়ি)।’

 
Electronic Paper