ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

দাম্পত্যজীবনে ভাঙন রোধ করব কীভাবে?

খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ০৩, ২০১৯

প্রশ্নটি করেছেন সামিয়া তিথি, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল থেকে

প্রায় প্রতিটি বৈবাহিক সম্পর্কেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভিন্নতা, মতামতের পার্থক্য ও তর্ক-বিতর্ক আছে। কিন্তু তর্ক-বিতর্ক কোনো বৈবাহিক সম্পর্কের ভাঙনের জন্য মূল কারণ নয়। বরং এই তর্ক-বিতর্ককে নিয়ন্ত্রণ করার ওপরই নির্ভর করে বৈবাহিক সম্পর্কের স্থায়িত্ব। সম্পর্কে ভাঙনও সৃষ্টি হতে পারে এমন আচরণ এড়িয়ে চলা উচিত।

গঠনমূলক সমালোচনার বদলে একজন অপরজনকে দোষারোপ করতে থাকা বৈবাহিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ। ক্রমাগত দোষারোপ করতে থাকার আচরণ স্বামী-স্ত্রীর প্রশান্তির সম্পর্ককে তিক্ততার সম্পর্কে পরিণত করে।

দোষারোপ বলতে মূলত একজন আরেকজনকে বিভিন্ন ভুলের কারণে দায়ী করার বিষয়টির কথা বলা হচ্ছে। দোষারোপের আচরণ বৈবাহিক সম্পর্কের মাঝে ভাঙনকে ত্বরান্বিত করে।

মূলত কোনো ব্যক্তিকে তুচ্ছ মনে করা এবং তাকে নিজের তুলনায় হীন মনে করাই হলো অবজ্ঞা। নিজের সঙ্গীকে যদি আপনি অবজ্ঞা করেন এবং তাকে উদ্দেশ্য করে প্রায়ই হাসি-ঠাট্টা ও কৌতুক করতে থাকেন, তবে তার সঙ্গে ধীরে ধীরে আপনার দূরত্ব তৈরি হতে থাকবে। এক সময় তা বৈবাহিক সম্পর্কের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করবে।

দোষারোপের সময় নিজেকে প্রতিরক্ষা এবং দোষারোপকারীকে পাল্টা আক্রমণের আচরণ বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেমানান। এ আচরণ তর্ক-বিতর্ক ও দোষারোপের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তৈরি হওয়ার তিক্ততাকে প্রশমিত করার পরিবর্তে বরং তিক্ততার মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

কোনো তর্ক-বিতর্ক বা গুরুত্বপূর্ণ কথার সময় সঙ্গীর কথা মনোযোগের সঙ্গে না শুনে চুপ করে থাকা বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙনের অন্যতম কারণ। এ ধরনের আচরণ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে দেয়াল তুলে দেয়। ফলে এক সময় তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।

এই চার প্রকার আচরণ বৈবাহিক সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব ও শীতল পরিবেশ তৈরি করে। যদি এ বিষয়ে সতর্ক থাকা না যায়, তবে মধুরতম সম্পর্কের মাঝেও ভাঙন ধরতে পারে।

 
Electronic Paper