তাহাজুদ নামাজ আদায়ের মাজেজা কী?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
প্রশ্নটি করেছেন সৈয়দা রুমানা আফরোজ, টঙ্গী, গাজীপুর থেকে
আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশাকে (রা.) জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হত? তিনি উত্তরে বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না। প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না!
এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাই বাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন। (সহীহ বুখারি ১/১৫৪, হাদিস ১১৪৭; সহীহ মুসলিম ১/২৫৪, হাদিস ৭৩৮; সুনানে নাসায়ী ১/২৪৮, হাদিস ১৬৯৭; সুনানে আবু দাউদ ১/১৮৯, হাদিস ১৩৩৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৬, হাদিস ২৪০৭৩)।
আবদুল্লাহ ইবনে আবী কাইস বলেন, অর্থাৎ, আমি হজরত আয়েশার (রা.) কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তেরো রাকাতের অধিক পড়তেন না। (সুনানে আবু দাউদ ১/১৯৩, হাদিস ১৩৫৭ (১৩৬২); তহাবি শরিফ ১/১৩৯; মুসনাদে আহমদ ৬/১৪৯, হাদিস ২৫১৫৯)।
উল্লিখিত বর্ণনায় বোঝা গেল রসুলুল্লাহ (সা.) কখনো তাহাজুদ নামাজ চার রাকাত পড়তেন, কখনো ছয় রাকাত পড়তেন। কখনো আট রাকাত পড়তেন। কখনো দশ রাকাত পড়তেন। সুতরাং তাহাজুদের নামাজ ১০ রাকাত পর্যন্ত পড়া রসুলুল্লাহ (সা.) থেকে আমরা সহীহ হাদিসে পাই। এর চেয়ে বেশি পড়া যাবে না, এমন নয়। যেহেতু এটি নফল নামাজ তাই যত বেশি পড়া যায় ততই সওয়াব।
সেই সঙ্গে চার রাকাতের কম পড়লে তা তাহাজুদ হবে না, বিষয়টি এমনও নয়। তাই দুই রাকাত পড়লেও তা তাহাজুদ নামাজ হিসেবেই গণ্য হবে। সময় কম থাকলে দুই রাকাত পড়ে নিলেও তাহাজুদ নামাজ পড়া হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।