প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তির পথ কী?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০১৯
প্রশ্নটি করেছেন সাবেরা তাবাসসুম, ডিমলা, নীলফামারী থেকে
মহাবিশ্বের জন্য আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা কতগুলো নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছেন- যেগুলোকে আমরা সুন্নাতুল্লাহ বলি। ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক, মহাবিশ্বের সমগ্র বস্তুজগৎকে এসব নিয়ম মেনে চলতেই হয়।
আল্লাহতাআলা ইরশাদ করেন- অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্র বিশেষ। এরপর তিনি ধূম্রকে এবং জমিনকে বললেন, তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা এলাম অনুগত হয়ে। (সুরা হামীম সিজদাহ, আয়াত-১১)।
এছাড়া প্রাণীজগতের অধিকাংশেরও আল্লাহর বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে বেছে নেওয়ার তেমন কোনো ক্ষেত্র নেই। অথচ, সবচেয়ে স্বতঃসিদ্ধ যে ব্যপারটা, সেটাই তিনি আপাত দৃষ্টিতে বেঁধে দেননি; কেবল তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেই জীবনে শান্তি, সমন্বয়, প্রশান্তি ও পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারবে মানুষ। তাকে দেখে বোঝা যাবে যে আল্লাহতাআলা কোরআনুল কারীমের সুরা ত্বীনে তার কথাই বলেছেন। ইরশাদ হচ্ছে- আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি উত্তম আকৃতিতে। (সুরা ত্বীন, আয়াত-৫)।
তথাপি ব্যাপারটা তিনি বেঁধে না দিয়ে মানুষকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। অন্যথায় নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে না পারলে অতৃপ্তির গোলকধাঁধায় জীবনকে আকণ্ঠ পান করার অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে নিজেকে ক্ষয় করতে করতে মানুষ এক সময় নিঃশেষ হয়ে যাবে, সুধা ভেবে গরল গলাধঃকরণ করতে করতে নিজেই একসময় বিষাক্ত নীল হয়ে যাবে। সে যেদিকে তাকাবে, চাইনিজ উপকথার ড্রাগনের মতো তার নিঃশ্বাসের উত্তাপে, বিষবাষ্পে সব জ্বলে পুড়ে ভস্ম হয়ে যাবে।
একটু ভেবে দেখলেই যে কেউ তা বুঝতে পারবেন, আল্লাহতাআলা পবিত্র কোরআনের সুরা ত্বীনের ষষ্ঠ আয়াতে এ ধরনের মানুষের কথাই বুঝিয়েছেন- অতঃপর আমি তাদের প্রত্যাখ্যান করেছি নিচতমদেরও নিচে। (সুরা ত্বীন, আয়াত-৬)।