আজানের ফজিলত ও মুয়াজ্জিনের মর্যাদা
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
বিষয়টি জানতে চেয়েছেন আতিকুর রহমান, রাজশাহী থেকে।
আজান হলো ফরজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান। মহান আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগি ও হুকুম আহকাম পালনের জন্যই আজান দেওয়া হয়। আজান দেওয়ার কারণেই মুয়াজ্জিনের মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ইসলামে আজানের উপকারিতা ও মুয়াজ্জিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব অনেক বেশি।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন নবীগণ প্রথমে বেহেশতে প্রবেশ করবেন, অতঃপর প্রবেশ করবেন বাইতুল্লাহ শরিফের মুয়াজ্জিনগণ, তারপর বাইতুল মুকাদ্দিসের মুয়াজ্জিনগণ, অতঃপর আমার মসজিদের মুয়াজ্জিনগণ, অতঃপর দুনিয়ার মসজিদের মুয়াজ্জিনগণ জান্নাতে প্রবেশ করবেন।’ (মিশকাত)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনির শেষ সীমা পর্যন্ত সজীব ও নির্জীব সব বস্তু তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ও সাক্ষ্য প্রদান করে। ওই আজান শুনে যে ব্যক্তি নামাজে যোগ দিবেন, সে ২৫ নামাজের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন। মুয়াজ্জিনও ওই মুসল্লির সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন এবং তার দুই আজানের মধ্যবর্তী সব ছোট গোনাহ মাফ করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, মিশকাত)