হজ কাদের ওপর ফরজ?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
প্রশ্নটি করেছেন ফাতিমা রাদিতা, সদর, বরিশাল।
উত্তর: হজ ইসলামের অন্যতম রুকন বা স্তম্ভ। আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দাদের মধ্যে সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। ইসলামে হজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। হজ মানুষকে পূত-পবিত্র করে নতুন জীবনে ফিরিয়ে আনে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহর কাজে লিপ্ত না হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে হজ সম্পন্ন করে, সে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)
হজ ফরজ হওয়ার জন্য পাঁচটি শর্ত রয়েছে
এক. মুসলিম হওয়া।
দুই. আকল থাকা অর্থাৎ বিবেকবান হওয়া, পাগল না হওয়া।
তিন. বালেগ হওয়া অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।
চার. আজাদ বা স্বাধীন হওয়া। অর্থাৎ কারো গোলাম বা দাস না হওয়া।
পাঁচ. দৈহিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়া।
তবে স্মরণ রাখতে হবে, যে কারো ওপর জাকাত ফরজ না হয়েও তার ওপর হজ ফরজ হতে পারে। কেননা হজ ও জাকাতের মধ্যে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে।
একইভাবে ব্যবসায়ীর দোকানে যে পরিমাণ পণ্য আছে, তার কিছু অংশ বিক্রি করলে যদি হজ করা সম্ভব হয় এবং ফিরে এসে যদি বাকি পণ্য দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা যায়, তাহলে তার ওপরও হজ ফরজ।
মনে রাখতে হবে যে, আগে নিজের হজ আদায় করবে। পরে মাতা-পিতার চিন্তা করবে। সামর্থ্য থাকলে তাদের নিয়ে একসঙ্গে হজ করবে। অন্যথায় আগে নিজের ফরজ আদায় করবে।
অনেকে মনে করেন, সন্তানের বিয়ে আগে দিতে হয়। তারপর হজ আদায় করতে হয়। অথচ এ কথা ইসলাম সমর্থিত নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তানের বিয়েও খুবই জরুরি। তাই বলে সন্তানের বিয়ের জন্য হজে বিলম্ব করা যাবে না।
ধর্মকথা বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন জানার থাকলে আমাদের কাছে লিখে পাঠান খোলা কাগজ : বসতি হরাইজন, ১৮/বি, বাসা-২১, রোড-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ই- মেইল : [email protected] এই ঠিকানায়।