গীবত কী? কার কার দোষ বর্ণনা ইসলামে জায়েজ?
খোলা কাগজ ডেস্ক
🕐 ৬:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৮
প্রশ্নটি করেছেন ফাতিমা রূপকথা, পাথরঘাটা, বরিশাল।
গীবত
গীবত শব্দটির আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দোষারোপ করা, পরচর্চা করা, পরনিন্দা করা, কুৎসা রটনা করা, পেছনে সমালোচনা করা ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় গীবত বলা হয়, কারও অগোচরে তার এমন দোষের কথা উল্লেখ করা যা তিনি গোপন রেখেছে অথবা যার উল্লেখ তিনি অপছন্দ করে।
যাদের দোষ বর্ণনা করা জায়েজ
ইসলামের দৃষ্টিতে সব গীবত সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, সৎ ও শরিয়তসম্মত উদ্দেশসাধন যদি গীবত ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে গীবত জায়েজ। তার মতে ছয় ধরনের গীবত জায়েজ। যথা-
০১. মজলুম ব্যক্তি জালেমের বিরুদ্ধে শাসক, বিচারক অথবা এমন কারও কাছে অভিযোগ করতে পারে যে তাকে জালেম ব্যক্তির বিরুদ্ধে ন্যায় পাইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।
০২. কোনো খারাপ কাজ বন্ধের উদ্দেশ্যে কিংবা ত্রুটি সংশোধনের জন্য কোনো ব্যক্তির দোষ এমন ব্যক্তির কাছে বলা, যে তা সংশোধন করার ক্ষমতা রাখে।
০৩. কোনো আলেমের নিকট মাসয়ালা জানতে গিয়ে প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তির (সম্ভব হলে নাম উল্লেখ না করে) ত্রুটি বলা যায়।
০৪. কোনো ব্যক্তি কারও সঙ্গে বিয়ে বা ব্যবসায়ের সম্পর্ক করতে চাইলে এবং তার সম্পর্কে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ চাইলে।
০৫. যেসব লোক সমাজে প্রকাশ্যে পাপ কাজের প্রসার ঘটাচ্ছেন, তাদের দোষ-ত্রুটির সমালোচনা জায়েজ।
০৬. কেউ যদি নির্দিষ্ট উপনামে অথবা ছদ্মনামে সমাজে পরিচিত হয় তবে তাকে চেনার উদ্দেশে ছদ্মনাম বা খারাপ উপনামে ডাকা জায়েজ।
ধর্মকথা বিষয়ে আপনার কোনো প্রশ্ন জানার থাকলে আমাদের কাছে লিখে পাঠান-খোলা কাগজ : বসতি হরাইজন, ১৮/বি, বাসা-২১, রোড-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩। ই-মেইল : [email protected] এই ঠিকানায়।
সূত্র : হিফজুল লিসান