আত্মার সঙ্গে শিষ্টাচার
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
একজন মুসলিম সর্বদা মনে মনে হিতোপদেশ এবং শিষ্টাচারের দিকগুলো স্মরণ করবে, যাতে করে নফস বা আত্মাকে পবিত্র ও উন্নত রাখতে পারে। নিজ আত্মাকে প্রবৃত্তির ও লালসার পেছনে ছেড়ে দেবে না, যাতে সে স্খলিত হয়ে যায় এবং অন্যায় করে।
যারা নিজেদের নফসের হিসাব রাখে এবং নফসের তদারকি করে, তাদের প্রশংসায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, সেই সফলকাম যে নফসকে পরিশুদ্ধ করেছে, আর সেই ক্ষতিগ্রস্ত যে আত্মাকে কলুষিত করেছে। (সুরা আশ-শামস-৯-১০)।
মুসলিম মাসুম তথা গুনাহমুক্ত নয়, বরং সে কখনো কখনো ভ্রান্তি ও গুনাহে লিপ্ত হতে পারে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে তাকে নফসের সঙ্গে জিহাদ করতে হবে, যাতে সে অবাধ্য গুনাহগার হয়ে না যায়। যদিও কখনো তার আত্মা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়, তাহলে সে মুষড়ে পড়বে না। সে হতাশ হবে না। আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে না। বরং সে আল্লাহর দরবারে ফিরে আসবে এবং দ্রুত তওবা করবে আর গুনাহের জন্য তার নফসকে ভর্ৎসনা করবে। সম্ভব হলে নফসকে অনুমোদিত খায়েশ থেকেও বিরত রাখতে হবে, যাতে করে সে পরবর্তী সময়ে কোনো গুনাহের নির্দেশনা দিতে না পারে।
মনে রাখা দরকার, তওবা তিনটি জিনিসকে শামিল করে গুনাহ থেকে ফিরে আসা, গুনাহের কাজটির জন্য অনুশোচিত হওয়া, কৃত গুনাহের দিকে ভবিষ্যতে ফিরে না যাওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া।
যখন কোনো মুসলিম সত্যিকারার্থে তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেন, তার মন্দ কাজগুলো মিটিয়ে দেন।
তিনি বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা খালেসভাবে আল্লাহর কাছে তওবা করো। সম্ভবত রব তোমাদের পাপগুলো মোচন করে দেবেন এবং দাখিল করবেন জান্নাতে যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত। (সুরা আত-তাহরীম-৮)।