ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

রাশিফল দেখা কি জায়েজ?

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৮

আমাদের এ বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেওয়া প্রয়োজন, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির জন্যই ভবিষ্যদ্বাণী করার কোনো সুযোগই রাখা হয়নি।

মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তার কাছেই আছে অদৃশ্য জগতের সমস্ত জ্ঞানের চাবি, যা তিনি ব্যতীত আর কেউ জানেন না।’ (সূরা : আনআম-৫৯)।

‘বলুন, আল্লাহ ব্যতীত নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে কেউ গায়েবের খবর জানে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে।’ (সূরা : নামল-৬৫)।

অতএব যদি কেউ কোনো রাশিফল বিশ্বাস নিয়ে পড়ে, এটি তার জীবনে বাস্তবিকই ঘটবে এবং বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্র তার জীবনের ওপর প্রভাব ফেলবে, তবে তার কোনো ইবাদতই আল্লাহর কাছে কবুল হবে না।

রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি গণকের কাছে গিয়ে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চায় এবং গণকের কথা যদি সে বিশ্বাস করে, তবে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার নামাজ কবুল হবে না।’ (সহীহ মুসলিম, হাদিস-৫৫৪০)।

রাশিচক্র চর্চাকারী এবং দৈবজ্ঞানের দাবিদার ব্যক্তিদের সঙ্গে পরামর্শকারীদের ক্ষেত্রেও হাদিসটি প্রযোজ্য।

অপর এক হাদিসে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো গণকের কাছে গেল এবং তার কথা বিশ্বাস করল, সে যেন মুহাম্মদের (সা.) ওপর অবতীর্ণ বাণীকে অস্বীকার করল।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস-৩৮৯৫)।

তবে কেউ যদি কোনো প্রকার বিশ্বাস ছাড়াই সাধারণভাবে রাশিফল পাঠ করে, তবে তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সাধারণত রাশিফল পাঠের পর মানুষের পরিকল্পনা অনেক সময় রাশিফলের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে যায় এবং রাশিফলে নিষেধ করা কাজ থেকে মানুষ দূরে থাকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাশিফল পাঠ থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

আল্লাহই সর্বোচ্চ জ্ঞানের অধিকারী।

 
Electronic Paper