ঢাকা, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

শাবান মাসে নবীজি যে আমল করতেন

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ২:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩

শাবান মাসে নবীজি যে আমল করতেন

হিজরি বর্ষপঞ্জির অষ্টম মাস শাবান। এ মাস বছরের শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তা পৌঁছিয়ে দেয় মানুষের দুয়ারে। আরবিতে শাবান মাসের একটি অর্থ হলো মধ্যবর্তী সুস্পষ্ট। যেহেতু এ মাসটি রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী, তাই এই মাসকে শাবান মাস নামকরণ করা হয় (লিসানুল আরব, ইবনে মানজুর রহ.)। আরবিতে এ মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আশ শাবানুল মুআজজম’ অর্থ মহান শাবান মাস। শাবান মাসে মুসলমানদের মধ্যে খুশি-আনন্দ ও সংবেদন-চৈতন্যের আভা ছড়িয়ে পড়ে।

মুসলমানদের কাছে এই মাসটি বেশি বেশি নফল রোজা রাখার মাস হিসেবে পরিচিত। কারণ নবী করিম (সা.) শাবান মাসে অধিকহারে নফল রোজা রাখতেন, যা অন্য কোনও মাসে রাখতেন না। উম্মে সালমা (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে শাবান ও রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো দুই মাস একাধারে রোজা রাখতে দেখিনি। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৩৬)

এই মাসকে রমজানের প্রস্তুতিমূলক মাস বলা হয়। রমজানে রোজা রাখতে অভ্যস্ত হতে এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা যেতে পারে। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা কোনো মাসে রাখতেন না। তিনি পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন এবং বলতেন, তোমাদের মধ্যে যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু (নফল) আমল করো, কারণ তোমরা (আমল করতে করতে) পরিশ্রান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহতায়ালা (সওয়াব) দান বন্ধ করেন না।

নবী (সা.)-এর কাছে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় নামাজ ছিল তা-ই, যা যথাযথ নিয়মে সর্বদা আদায় করা হতো, যদিও তা পরিমাণে কম হতো এবং তিনি যখন কোনো (নফল) নামাজ আদায় করতেন পরে তা অব্যাহত রাখতেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৯৭০)

রমজানের আগে রজব ও শাবান মাসে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কাছে বেশি বেশি বরকত লাভের দোয়া করতেন। এই দুই মাসে তিনি এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন

আরবি : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান

অর্থ : হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসিব করুন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৫৯)

 

 
Electronic Paper