ঢাকা, সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

মুক্তির জন্য রসুল (সা.) এর দিকনির্দেশনা

অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩

মুক্তির জন্য রসুল (সা.) এর দিকনির্দেশনা

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) নবী করিম (সা.)-এর কাছে মাত্র তিন বছর ছিলেন। প্রায় সোয়া লাখ সাহাবির মাঝে তিনি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ছিলেন। যাই হোক, জাতির মুক্তির কী দিকনির্দেশনা নবী করিম (সা.) দিয়ে গেছেন বিভিন্ন সাহাবির কাছে- তা অনেকের জানা।

 

আজ হজরত আবু হুরায়রাকে নবী করিম (সা.) কী দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন, তা আমি আপনাদের শোনাব। আল্লাহর রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, জাতির মুক্তির পথ ছয়টি মূলনীতির মাঝে নিহিত। তিনটি করণীয়, তিনটি বর্জনীয়।

পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার যে প্রথম আয়াতগুলো রয়েছে- সেখানেও আল্লাহপাক জাতির মুক্তির ছয়টি পয়েন্ট আলোচনা করেছেন। আল্লাহর রসুল (সা.) যে ছয়টি পয়েন্ট ইরশাদ করেছেন তার মধ্যে এক নম্বর হলো, প্রকাশ্যে এবং গোপনে তাকওয়া এখতিয়ার করা। তাকওয়ার দুই অর্থ- ১. নিজেকে সম্পূর্ণ গোনাহমুক্ত রাখা।

চাই তা বিশ্বাসগত গোনাহ হোক, চাই ইবাদতের গোনাহ হোক অথবা লেনদেন, আচার-ব্যবহার বা চারিত্রিক গোনাহ হোক কিংবা ব্যক্তিগত সামাজিক বা জাতীয় পর্যায়ের গোনাহ হোক। মোটকথা সব ধরনের গোনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা।

সমাজ বা পরিবারকে গোনাহমুক্ত করতে গিয়ে যেখানে লাঠি প্রয়োজন সেখানে লাঠি দ্বারা যেখানে মুখের প্রয়োজন সেখানে কথার দ্বারা গোনাহমুক্ত করতে হবে। ডিম, মধুসহ যাবতীয় দামি দামি খাবার খেলে হবে না, আগে পেট ঠিক রাখতে হবে। কারণ পেট খারাপ হলে ভালো ভালো উন্নতমানের খাবার খেলে পেটের বারোটা বাজবে।

ডায়াবেটিস রোগী যারা, এক সময় প্রচুর খাবার-দাবার খেত, কিন্তু এখন তারা কিছুই খেতে পারে না। যেমন, আমাকে ডাক্তার বলেছে আপনি গরুর গোশত খেতে পারবেন না। আমি বললাম, আমি কী অন্যায় করলাম যে, গরুর গোশত খেতে পারব না? তারা বলে যে, হুজুর সুস্থ থাকার জন্য এই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

আমি বললাম, এমন একটা ওষুধ দেন যার দ্বারা এর প্রতিকার হয়ে যায়। বলে যে, হুজুর এমন ওষুধ তো আবিষ্কার হয়নি। বললাম, তাহলে আপনারা ডাক্তার হয়ে কী করলেন? বিজ্ঞান এত উন্নতি করে কী করল? বলে যে, হুজুর!

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার একটি ওষুধ আছে। তাহলো সকাল বেলা ২ ঘণ্টা দৌড়াতে হবে। বললাম, দৌড়ানো তো আল্লাহর পা দিয়ে, আপনি একটা কিছু দেন না। ডাক্তারের এই পরামর্শ মানতে গিয়ে আজকাল মানুষ এশরাকের নামাজ আর কোরআন তেলাওয়াত রেখে দৌড়াতে থাকে।

যাহোক বোঝা গেল, কিছু খেতে হলে আগে পেট ঠিক করতে হবে। এমনিভাবে নেক কাজ দ্বারা উপকৃত হতে হলে আগে গোনাহ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। গোনাহ হলো আত্মা বা রুহের রোগ। সুতরাং রুহকে রোগমুক্ত করে সুস্থ করে অতঃপর নামাজ পড়লে এবং ইবাদত করলে সেটা কাজ হবে।

 
Electronic Paper