অপব্যয় ইসলামে অপছন্দনীয় কাজ
অনলাইন ডেস্ক
🕐 ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩

কৃপণতা একটি মন্দ স্বভাব। খেয়ানত, বিশ্বাসঘাতকতা, নির্দয়তা ইত্যাদি মন্দ স্বভাব থেকে এর সৃষ্টি হয়। ইসলাম কৃপণতার মূলোৎপাটনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছে। এ কারণেই ক্ষুধার্তকে খাদ্য দান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য দান, এতিমদের লালনপালন ও ঋণগ্রস্তকে সাহায্য দান মুসলমানের গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
রসুলুল্লাহ (সা.) নবুয়ত প্রাপ্তির আগে এর সব গুণে গুণান্বিত ছিলেন বলে হজরত খাদিজা (রা.)-এর উক্তি থেকে প্রকাশ পায়। তিনি বলেন, আপনি আত্মীয়র প্রতি সদাচরণ করেন, অসহায় ব্যক্তির বোঝা বহন করেন, নিঃস্ব ব্যক্তির জন্য উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেন, মেহমানদের আপ্যায়ন করেন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি সহায়তা দান করেন।
(বুখারি) কৃপণতা মানুষের জন্য কখনো কল্যাণকর নয় বরং তা অনিষ্টই বয়ে আনে। এ প্রসঙ্গে কোরআন মাজিদে মহান রব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তাদের দিয়েছেন, তাতে যারা কৃপণতা করে, তাদের জন্য তা মঙ্গল এটা যেন তারা কিছুতেই মনে না করে।
বরং এটা তাদের জন্য অমঙ্গল। যে বিষয়ে তারা কৃপণতা করবে কেয়ামতের দিন তা তাদের গলায় বেড়ি পরিয়ে দেওয়া হবে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত ১৮০) মূলত কৃপণতা মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআন কারিমে ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কীসে সাকারে (জাহান্নামে) নিক্ষেপ করেছে।
তারা বলবে, আমরা মুসল্লিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না এবং আমরা অভাবগ্রস্তদের আহার্য দান করতাম না।’ (সুরা মুদ্দাসসসির, আয়াত ৪২-৪৪) প্রিয় নবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কৃপণ ব্যক্তি আল্লাহ, জান্নাত ও মানুষ থেকে দূরে থাকবে, কিন্তু জাহান্নামের নিকটবর্তী থাকবে।’
(তিরমিজি) কৃপণ ব্যক্তির পরিণাম সম্পর্কে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘প্রতারক, কৃপণ এবং যে ব্যক্তি নিজ অনুগ্রহের কথা অন্যের কাছে বলে বেড়ায় তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (তিরমিজি)
তিনি আরও বলেন, ‘কৃপণতা ও মন্দ স্বভাব মোমিন ব্যক্তির মধ্যে একত্র হতে পারে না।’ (তিরমিজি) প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কৃপণতা থেকে বেঁচে থাকো, কেননা এ কৃপণতা তোমাদের পূর্ববর্তীদের ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের উসকে দিয়েছে, যেন তারা রক্তপাত ঘটায় এবং হারামকে হালাল জানে।’ (মিশকাত)
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
