দোয়া কবুলের প্রতিশ্রুতি নামাজে
ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৮
নফল নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদের সর্বাধিক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। এ সময় মানুষের মনের মধ্যে একাগ্রতা বেশি থাকে। আশপাশের পরিবেশ কোলাহলমুক্ত থাকে। দুনিয়াবি বিষয়ের চিন্তা কম থাকে।
নামাজ কবুল হওয়া কিংবা নামাজের মাধ্যমে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে একাগ্রতা বা গভীর মনোযোগ খুবই জরুরি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওইসব মুমিনগণ সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজ খুশুখুজুর সঙ্গে আদায় করে।’ (সুরা মুমিনুন-১-২)।
তাহাজ্জুদ আদায়কারীকে আল্লাহতাআলা খুব বেশি পছন্দ করেন। যে ব্যক্তিকে আল্লাহ পছন্দ করবেন, নিঃসন্দেহে দুনিয়ার সব মানুষ ওই ব্যক্তিকে সম্মান ও পছন্দ করবেন। এরশাদ হয়েছে, ‘রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ প্রতিষ্ঠা করুন, এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত, আশা করা যায় আপনার প্রভুর দ্বারা আপনাকে প্রশংসিত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল-৭৯)।
অন্যত্র এরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে ইবাদত করে, পরকালের আশঙ্কা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তাভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। (সুরা জুমার-৯)।
তাহাজ্জুদের সময় দোয়া কবুলের উত্তম মুহূর্ত। এ সময় দোয়া করলে মানুষের মনের আর্তিগুলো পূর্ণ হয়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন স্বয়ং আমাদের প্রতিপালক দুনিয়ার নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং বলতে থাকেন, বান্দাগণ! কে আছো আমার কাছে কিছু চাইবে, আমি তাকে দিয়ে দেব। কে আছো, এ সময় আমার কাছে গুনাহ থেকে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।’ (বুখারি-১১৪৫)।