ঢাকা, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ | ১৭ চৈত্র ১৪২৯

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

হাদিসের দৃষ্টিতে মানব জাতির মুক্তি

আল্লামা মাহ্‌মূদুল হাসান
🕐 ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

হাদিসের দৃষ্টিতে মানব জাতির মুক্তি

“আল্লাহুম্মা ছল্লি ওয়াসাল্লিম ওয়া বারিক আলা সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি আজমাইন, ক্বালা রাসুলুল্লাহি সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আছছিদকু ইউনজি ওয়াল কিজবু ইউহলিক।” এ হাদিসটি হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণিত হাদিস। হজরত ইমাম বায়হাকি (রহ.) তার সুনানে কুবরার মধ্যে হাদিসখানা উল্লেখ করেছেন। এই হাদিসের মধ্যে হজরত রসুলে পাক (সা.) এই দিকনির্দেশনা করেছেন যে, কোন বস্তু মানুষকে নাজাত বা মুক্তি প্রদান করে, আর কোন বস্তু মানুষকে হালাক বা ধ্বংস করে দেয়। মুক্তি বা নাজাতের চিন্তা করা এটা মানুষের স্বভাবগত বিষয়। যে তা না করে সে বোকা!

 

হজরত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর একদিন হজরত ওমর (রা.) হজরত ওসমান গনি (রা.)-এর সামনে দিয়ে অতিক্রমকালে হজরত ওসমান গনি (রা.)-কে সালাম দিলেন। হজরত ওসমান গনি (রা.) সালামের জবাব দেননি। সালাম দেওয়া সুন্নত, আর সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব।

আগে সালাম দিলে সওয়াব বেশি। জবাব দিলে সওয়াব কম। সালাম দিয়ে সুন্নত পালন করলে সওয়াব বেশি পাওয়া যায়। আর জবাব দিয়ে ওয়াজিব পালন করলে সওয়াব কম। সুতরাং বোঝা গেল বড় কাজ করলেই বড় হওয়া যায় না। ছোট কাজ করেও বড়ত্ব অর্জন করা যায়। আসল কথা হলো মনের ব্যাপার।

যাই হোক সালামের জবাব না দেওয়া এটা একটা অপরাধ। তাই হজরত ওসমান (রা.) সালামের জবাব না দেওয়ার কারণে হজরত ওমর (রা.) হজরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে অভিযোগ করলেন। তখন খলিফা ছিলেন হজরত আবু বকর (রা.)।

হজরত ওমর (রা.)-এর মতো ব্যক্তিত্ব খলিফার দরবারে বিচার নিয়ে গেছেন সালামের জবাব না দেওয়ার অভিযোগে। আজকে যদি কোনো ব্যক্তি এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কোনো অফিসের বস বা কর্মকর্তার কাছে যায় এবং বলে, স্যার আমি অমুককে সালাম দিয়েছি, সে সালামের জবাব দেয়নি। তাহলে তাকে পাগল ছাড়া কিছু বলবে?

বলবে, মিয়া! অভিযোগ করার আর কোনো বিষয় পেলে না? আর যদি কেউ প্রেসিডেন্টের কাছে যায় এই অভিযোগ নিয়ে, তাহলে? যাই হোক আমিরুল মুমিনিন হজরত আবু বকর (রা.) হজরত ওসমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ শুনে চিন্তা করলেন, তিনি তো এমন লোক নন।

যার কাছে নবী করিম (সা.) স্বীয় দুই কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন এবং এও বলেছেন, যদি আমার একশত মেয়ে থাকত, আর একেক জন মারা যেত, তাহলে একে একে সবাইকে আমি ওসমানের কাছে বিয়ে দিতাম।

তা ছাড়া নবী করিম (সা.) বলে গেছেন, আল্লাহতায়ালা আমাকে জানিয়েছেন ওসমান (রা.) জান্নাতি। সুতরাং এমন ব্যক্তি সালামের জবাব থেকে বিরত থাকে কীভাবে? বিষয়টির কারণ ও রহস্য জানতে আমিরুল মুমিনিন স্বয়ং বের হয়ে হেঁটে হজরত ওসমান (রা.)-এর বাড়িতে গেলেন। গিয়ে সালাম দিলেন

 
Electronic Paper