ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফজরে সুন্নতের সময় কতটুকু

ডেস্ক রিপোর্ট
🕐 ৯:১২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০১৮

কখনো কখনো ফজরের সময় মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, নামাজের ইকামত হচ্ছে বা জামাত শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জামাতের কতটুকু অংশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সুন্নত পড়তে হবে? দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে নাকি ইমামকে তাশাহহুদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে?

ফজরের সুন্নত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস শরিফে আছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফজরের সুন্নত ছেড়ে দিও না। যদিও সৈন্যবাহিনী তোমাদের তাড়া দেয়। (মুসনাদে আহমদ-২/৪০৫)।

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আবদুল্লাহ ইবনে আববাস ও আবু দারদার (রা.) মতো বিশিষ্ট সাহাবিদের থেকে বর্ণিত আছে, তারা ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে নিতেন। আবু দারদা (রা.) ফজরের সময় মসজিদে প্রবেশ করে লোকজনকে ফজরের জামাতে কাতারবদ্ধ পেলে মসজিদের এক কোণে (ফজরের) সুন্নত পড়তেন। অতঃপর মানুষের সঙ্গে জামাতে শরিক হতেন। (শরহু মাআনিল আছার, তহাবি ১/২৫৬)।

সুতরাং ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও সুন্নত পড়ে যদি জামাতের সঙ্গে দ্বিতীয় রাকাত পাওয়া যায়, তাহলে পড়ে নিতে হবে। আর দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে সুন্নত পড়বে না; বরং জামাতে শরিক হয়ে যাবে এবং সূর্যোদয়ের পর তা পড়ে নেবে।

প্রকাশ থাকে, কোনো কোনো ফকিহ সুন্নত পড়ার পর ইমামকে তাশাহহুদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও সুন্নত পড়ার কথা বলেছেন। কিন্তু, অধিকাংশ ফকিহর মত তা-ই, যা ওপরে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জামাত শুরু হওয়ার পর মসজিদে সুন্নত পড়ার কিছু শর্ত রয়েছে। যথা-

ক. কাতারের সঙ্গে মিলিত হয়ে পড়া যাবে না। মসজিদের বারান্দা বা কাতার থেকে দূরে মসজিদের এক কোণে বা কোনো পিলারের আড়ালে সুন্নত পড়বে।

খ. জামাত থেকে পেছনে পৃথক হয়ে সুন্নত পড়ার মতো জায়গা না থাকলে সুন্নত পড়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে জামাতে শরিক হয়ে যাবে।

 
Electronic Paper