কৃতজ্ঞ মানুষের গল্প
শিহাব আহমেদ তুহিন
🕐 ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ০৬, ২০১৮
জন্ম থেকেই যা পাওয়া যায়, তার কদর করে না মানুষ। শুকরিয়াও তাই আদায় করা হয় না। উল্টো সেরাটা না পাওয়ায়, স্বপ্নের জীবন না থাকায় মহান আল্লাহকে দুষতে থাকে সবাই। তবে যারা নিজেদের রবকে চেনে, তারা নিজেদের অবস্থা যতই করুণ হোক না কেন, রবের শুকরিয়া আদায় করতে ভোলে না।
বিখ্যাত আবেদ মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসি’ইর (রহ.) পুরো শরীরে ঘা হয়েছিল। যার কারণে তার চেহারা খুবই কুৎসিত হয়ে গিয়েছিল। তার এক বন্ধু এ চেহারা দেখে খুবই ভয় পেয়ে যায়। তাই তিনি তার সেই বন্ধুকে বলেছিলেন, সব প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য যে এটা আমার জিহ্বাতে কিংবা চোখের কোণে হয়নি। (অর্থাৎ রবের প্রশংসা করতে আর তার ভয়ে কাঁদতে আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না)।
আরেক লোকের কথা। সে ছিল খুবই অসুস্থ। তার ওপর অন্ধ। চলাফেরা করার কোনো শক্তিই নেই। কিন্তু বারবার তার জবান থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল, প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাকে তার বহু বান্দা থেকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন।
তাই এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞেস করল, আল্লাহ তোমার ওপর রহম করুন। কীভাবে আল্লাহ তোমাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন?
লোকটা তখন জবাব দিল, তিনি আমাকে একটি জিহ্বা দিয়েছেন যা তাকে স্মরণ করে। দিয়েছেন একটি হৃদয় যা তার প্রশংসা করে। আরও দিয়েছেন একটি দেহ যা কষ্টে সবর করে।
সবকিছু বাদ দিলেও আমরা যে জন্ম থেকেই নিয়ামত হিসেবে ইসলামকে পেয়েছি তা কয়জন পায়? এক সরল পথের সন্ধান করতে করতেই কত মানুষ সারাটা জীবন পার করে দেয়। বহু মানুষ পরিবার কর্তৃক বয়কট হয়। আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি আমরা কতটা ভাগ্যবান? এমনকি মেসি-রোনালদো, আইনস্টাইন-নিউটনসহ বহু জগদ্বিখ্যাত ব্যক্তির চেয়েও বেশি ভাগ্যবান। টিভিতে যাদের দেখে আমরা ঈর্ষা করি তাদের চেয়ে অনেক বড় নিয়ামত আল্লাহতাআলা আমাদের দান করেছেন।