ফুলবাড়ীতে কমেছে শীতকালীন সবজির দাম
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ৭:০৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকাসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজার গুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ১০-২০টাকা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।
আর কম দামে সবজি কিনতে পারায়,খেটে খাওয়া দিনমজুর,শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দু-একটি সবজির দাম বেড়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফুলবাড়ী পৌরবাজারের খুচরা শাকসবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে দু-একটি বাদে প্রায় সকল প্রকার সবজির দাম কমেছে দুইগুণ। প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায়, ৩০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ৪০-৬০ টাকার টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৫ ও ৩০ টাকায়, ৫০ টাকার মিষ্টি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, ১২০ টাকার মটর সুটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়, ৪০ টাকার গাজর বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ২০ টাকার বাঁধা কপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকায় এবং ৪৫ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা ১০০ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ৫০ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, ১৫০ টাকার শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় এবং ৩০ টাকার করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।
একইভাবে দাম বেড়েছে ১৫ টাকার খিরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩২ টাকায়, ২০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, ২০ টাকার ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। তবে পাইকারী বাজারে উল্লেখিত সবজিগুলোর দাম কেজিতে অন্তত ৩ থেকে ৫ টাকা কম রয়েছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা রিস্কা ভ্যান চালক শ্যামল বলেন, বাজারে সকল প্রকার সবজির দাম কমে গেছে। এতে করে দাম গরীব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে। নতুন আলুর দামও কম, এক কথায় সবজি কিনতে আর সমস্যা হচ্ছে না। দাম বেশি হলে খুব সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।
ফুলবাড়ী পৌর বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ী শাহাজামাল বলেন, এক সপ্তাহ আগে সব ধরনের সবজির যে দাম ছিল। সেই সবজি এখন অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। এবার উপজেলায় শীতকালীন সবজির ফলন ভাল হওয়ায় আগামীতে আরও দাম কম হওয়ার আশা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা: রুম্মান আক্তার বলেন, এবছর উপজেলায় শীত কালীন সবজি চাষাবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৯৬২ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভালো থাকায়, প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হওয়ায় এবছর উপজেলার সর্বত্রই সবজির আবাদ অত্যন্ত ভালো ও আশানুরুপ হয়েছে। এতে করে কৃষকরাও লাভবান হয়েছেন।