ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

বাঁচানো গেল না রাবি শিক্ষার্থী পার্থকে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
🕐 ৫:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০২১

বাঁচানো গেল না রাবি শিক্ষার্থী পার্থকে

কয়েক দিন আগে বিছানায় শুয়ে পার্থ সারথী রায় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সকলের কাছে বাঁচার আকৃতি জানিয়েছিল। তার আকৃতি 'আমি পার্থ। আমি বাঁচতে চাই। আমি পড়তে চাই।' কিন্তু সে আশা আর পূরুন হলো না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী পার্থসারথি রায় সবাই কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউতিরহাট গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।

২০১৩ সালে তাঁর বাবা ভবেশ চন্দ্র রায় মৃত্যুবরণ করার পর স্কুলজীবনে পার্থ কিডনী রোগে আক্রান্ত হন। দুই বছর পড়াশুনা বন্ধ রাখার পর আবারো পড়াশুনা শুরু করেন। ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে। পড়াশুনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন ছিলো প্রবল।

কিডনী প্রতিস্থাপনের খরচ সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছিল পার্থ'র গরীব পরিবারের পক্ষে। রাবি'র শিক্ষার্থীরা কাজ শুরু করেন পার্থ'র চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহে। ফটো গ্যালারী করে সংগ্রহ করেন দুই লক্ষাধিক টাকার তহবিল। স্থানীয়রাও প্রস্তুতি নিয়েছেন পার্থ'র চিকিৎসার জন্য তহবিল সংগ্রহে। কিডনী প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করার আগেই পার্থ সবাইকে কাঁদিয়ে চির বিদায় নিলেন।

সন্তানকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন পার্থ'র মা বিদদু লতা রায়। তিনি বলেন, অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা ঠিকভাবে করতে পারিনি। কত মানুষের কাছে আবদার করা হয়েছিল। যে ছেলেকে বাঁচাতে আমাকে সাহায্য করুন। কিন্তু কেই এগিয়ে আসেনি।

অশ্রুসিক্ত হয়ে দিশেহারা হয়ে পার্থ'র বড় ভাই শৈলেন্দ্র নাথ রায় বলেন, সে খুবেই মেধাবি ছিল। ফটো গ্যালারী করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার তহবিল করা হয়েছিল। কিন্তু সে টাকা কোন কাজে লাগলো না। চিকিৎসার আগেই ভাইকে হারিয়ে ফেললাম। যদি এই টাকা আগে পেতাম তবে ভাইকে চিকিৎসা করে বাঁচাতে পারতাম।

 
Electronic Paper