ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

অবশেষে সেই প্রার্থী বদল নীলফামারীতে

মোশাররফ হোসেন, নীলফামারী
🕐 ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২১

অবশেষে সেই প্রার্থী বদল নীলফামারীতে

নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডে ইস্যু করা পত্রে ওই প্রার্থী পরিবর্তনের কথা জানানো হয়। ওই ইউনিয়নের ভোটার না হয়েও পদটিতে দলীয় মনোনয়ন পান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম। সেটি প্রকাশ পাওয়ার পর তাকে পরিবর্তন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মজিদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

গত ৭ অক্টোবর জেলা সদরের ১১টি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রদান করা হয়। ওই ইউপিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম মনোনয়ন পেলে প্রকাশ পায় তিনি নীলফামারী পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার ভোটার। পৌরসভার ভোটার হয়ে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ৯ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে তার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, ‘হামিদুল ইসলাম তথ্য গোপন রেখে ৯ বছর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন, সেটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। তিনি ইউনিয়নের ভোটার নন এ বিষয়টিও আমাদের অনেকের জানা ছিল না।’

এদিকে হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংগঠনে পদ এবং দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃত কোনো তথ্য গোপন করিনি। ইউনিয়ন কমিটিতে থাকতে হলে এবং দলীয় মনোনয়ন পেতে হলে ইউনিয়নের ভোটার হতে হবে সেটি আমার জানা ছিল না।’
অন্যদিকে গতকাল বুধবার বিকালে প্রার্থী পরিবর্তন ও নিজের মনোনয়ন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিৎ করে আবদুল মজিদ বলেন, ‘হামিদুল ইসলাম মনোনয়ন পাওয়ার পর আমি তাকে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তিনি ইউনিয়নের ভোটার নন-এটা আমারও জানা ছিল না। তার অজান্তে হলেও কাজটা তিনি ঠিক করেননি। সাংগঠনিক নেতারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।’

দলীয় সূত্র মতে, ওই ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য ছয়জন প্রার্থী আবেদন করেন। তারা হলেন- ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হামিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মজিদ, ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহ্বায়ক অশ্বিনী কুমার বিশ্বাস, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান শাহ সৈকত ও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ফয়জুল ফরিদ।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান প্রার্থী বদলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হামিদুল ইসলাম তথ্য গোপন করে এতদিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করেছেন। এক এলাকার ভোটার হয়ে আরেক এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব নিয়ে ঠিক করেননি। এখন কেন্দ্র ওই ইউনিয়নে প্রার্থী পরিবর্তন করেছেন। তথ্য গোপন করার অপরাধে হামিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।’
নির্বাচনী তফশিল অনুযায়ী সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। যাচাই-বাছাই ২০ অক্টোবর, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর, ভোট গ্রহণ ১১ নভেম্বর।

 
Electronic Paper