ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিজিএফ কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

নাজমুস সাকিব মুন, দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
🕐 ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ১০, ২০২১

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ভিজিএফ কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার প্রদেয় ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় প্রতি কার্ডের বিপরীতে ৪৫০ টাকা করে বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দেবীগঞ্জ পৌরসভায় ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন স্থগিত করা হলেও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে ভিজিএফের তালিকা প্রণয়নে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পূর্বের তালিকা থেকে বেশকিছু উপকারভোগীর নাম বাদ দিয়ে নতুন করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করারও অভিযোগ উঠেছে।

রবিবার উপজেলা পরিষদ হল রুমে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ৪৫০ টাকা করে প্রতি কার্ডের বিপরীতে বিতরণ শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্য দুই প্রার্থী নুর নেওয়াজ ও আসাদুজ্জামান আসাদ হলরুমে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এই সময় নুর নেওয়াজ ও গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

এ বিষয়ে নুর নেওয়াজ মুঠোফোনে জানান, নির্বাচন স্থগিত থাকায় কোনো প্রার্থী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বা অন্য কোনো উন্নয়ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার ব্যাপারে বিধিনিষেধ থাকলেও গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী তা মানছেন না। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে বাকবিতণ্ডা হয়।

মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর এক প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক আবু অভিযোগ করেন, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মেয়র প্রার্থী হয়ে নিজে উপস্থিত থেকে ভিজিএফের টাকা বিতরণ করে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। পুরনো তালিকা থেকে উনি অনেককে বাদ দিয়ে নতুন নাম সংযোজন করার বিষয়েও অভিযোগ করেন আবু।

এই ব্যাপারে জানতে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে কথা বলবেন বলে জানান।

উল্লেখ্য, নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৫-এর ২৩ ধারা অনুযায়ী "কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে কর্তৃত্ব করতে পারবেন না কিংবা এই সংক্রান্ত সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না"।

 
Electronic Paper