নাগেশ্বরীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২১
নাগেশ্বরীতে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যা সন্দেহে থানায় অভিযোগ করেছেন নিহতের বড়ভাই। সোমবার উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের চাঁদের হাট দোলার পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, গত ১ মাস আগে চাঁদের হাট দোলার পাড় গ্রামের আবদার আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান হাবু মিয়া (৩০) তৃতীয় বিয়ে করেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ফুটানী বাজার এলাকার আব্দুস ছলামের মেয়ে তারামনিকে (১৯)। বিয়ের পর থেকে তারামনি তার স্বামীর বাড়িতে থাকে। সোমবার ভোরে সেহেরী খেয়ে তারা একত্রে তাদের ঘরে ঘুমাতে যায়। পরিবারের অন্যান্যরাও যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েন। অনেক বেলা অবদি তাদের ঘরের দরজা না খোলায় বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করতে থাকেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলতে উদ্যত হলে হঠাৎই তারা লক্ষ্য করেন তা বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে আটকানো। পরে তারা দরজা খুলে দেখেন বিছানায় পড়ে আছে তারামনির নিথর দেহ।
পরে ওইদিন বিকেলে এটিকে হত্যাকাণ্ড সন্দেহে নিহত তারামনির বড় ভাই আজাদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাগেশ্বরী থানায় হাবু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, আমাদের সন্দেহ হাবু মিয়া ভোর থেকে সুর্যোদয় এর মধ্যে যেকোনো সময় তারামনিকে কীটনাশক পান করিয়ে অথবা শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের দরজায় সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে গেছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে তো তার পালিয়ে যাওয়ার কথা নয়। এ কারণে আমি থানায় অভিযোগ করেছি। যদি আমার বোনকে মেরে ফেলা হয় তাহলে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
খবর পেয়ে সরেজমিন গেছেন এ. এস. পি সার্কেল সুমন রেজা ও নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর। পরে সেখান থেকে তারামনির মরদেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রওশন কবীর জানান, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এটি হত্যাকাণ্ড নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।