ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ঘর পায়নি গৃহহীনরা

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৯:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ০৭, ২০২১

প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ঘর পায়নি গৃহহীনরা

কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নির্মাণ হয়নি গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর। এ ঘটনায় সুবিধাভোগীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। ঘর নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে ইউপি চেয়ারম্যানদের বারবার তাগিদ দিলেও কোনো কাজ হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দীর্ঘদিনেও এসব ঘরের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য বারবার তাগিদ দিলেও কর্ণপাত করেননি তারা।

সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ইং অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৭২ জন গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণের ২ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ২০টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। দুই রুম বিশিষ্ট প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

এর মধ্যে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে ৪টি, দলদলিয়ায় ৬টি, দুর্গাপুরে ৭টি, পান্ডুলে ৮টি, বুড়াবুড়িতে ৩টি, ধরণীবাড়িতে ১০টি, ধামশ্রেনীতে ৪টি, গুনাইগাছে ৬টি, বজরায় ৫টি, হাতিয়ায় ৮টি, তবকপুরে ৭টি, বেগমগঞ্জে ২টি, ও সাহেবের আলগায় ২টি ঘর। ইতোমধ্যে গত ১৯ মে-২০ ইং তারিখে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ১ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯শ’ ৬০ টাকা উত্তোলন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানগণ। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বুড়াবুড়িতে ৩টি, তবকপুরে ৭টি ও ধামশ্রেনী ইউনিয়নের ৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

তবকপুর সরদারপাড়া গ্রামের রেজিয়া বেওয়া বলেন, ৬ মাস আগে চেয়ারম্যানের লোকজন কিছু ইট এনে পিড়ালী (ভিত্তি) করে দিয়ে গেছে আর কোনো খোঁজ নেই। বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের মজিবর আলীর স্ত্রী জাহেরা বেগম বলেন, ৫-৬ মাস আগে ইটের গাঁথুনি দিয়ে কাজ বন্ধ করে রেখেছে। ধামশ্রেনী ইউপি চেয়ারম্যান রাখিবুল হাসান সরদার বলেন, ভালো ইট না পাওয়ায় ঘরের কাজ অল্প সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। তবে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে।

তবকপুরের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ হোসেন মুকুলের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সমস্যার কারণে ঘরের কাজ যথাসময়ে শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে অল্প দিনের মধ্যে কাজগুলো শেষ করা হবে।

প্রকল্পের সদস্য সচিব ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদৌল্লা বলেন, অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, তবকপুরের চেয়ারম্যানকে তো খুঁজেই পাওয়া যায় না। শুনেছি বুড়াবুড়ি ও ধামশ্রেণীতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এদের কাউকে চূড়ান্ত বিল এখনো দেওয়া হয়নি।

 
Electronic Paper