ভবন নির্মাণের এক যুগেও স্থানান্তর হয়নি ইউপি অফিস
দিনাজপুর প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণের এক যুগ পরও সেখানে অফিস স্থানান্তর করা হয়নি। বাজার সংলগ্ন পুরাতন একটি ঘরে গাদাগাদি করে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বসলেও সেবা নিতে আসা জনগণ ও বিচার প্রার্থীরা সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন।
জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার কাটলা। সীমান্তবর্তী এই বাজারের পশ্চিম দিকে হাসপাতাল মোড়ে ২০০৭ সালের ১৩ নভেম্বর ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
২০০৮ সালের ৫ আগস্ট ভবনটি নির্মাণ শেষে ১৯ আগস্ট ২০০৮ সালে ভবনটি উদ্বোধন করে বিদ্যুৎ, পানির ব্যবস্থা ও আসবাবপত্র ছাড়াই তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল আহাদের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
২নং কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা ছাড়াই সীমিত চেয়ার টেবিল নিয়ে নতুন ভবনে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল আহাদ অফিস শুরু করার চেষ্টা করেন। ভবন হস্তান্তরের পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ডা. আব্দুল আহাদ ও শামসুল আলম কোনোদিনই নতুন ভবনে আসেননি। কিন্তু বাজারস্থ পুরাতন ইউপি ঘর থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে সাধারণ লোকজন যেতে অনীহা প্রকাশ করে।
এলাকাবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে আমিও বাজারের পুরাতন ইউপি ঘরে জনগণকে সেবা প্রদানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন ভবনে বিদ্যুৎ, পানি ও আসবাবপত্র না থাকায় আমি নিজ উদ্যোগে সেখানে বিদ্যুৎ, পানি ও আসবাবপত্রের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাজার থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় এবং নতুন ভবনে নাগরিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় সেখানে লোকজন যেতে চায় না। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও ১২ বছরে সেখানে নতুনভাবে অফিস স্থানান্তর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাই আমি স্বল্প পরিসরে দুই ভবনে অফিসে বসে জনগণের সেবা প্রদান করছি।
ইউনিয়ন পরিষদের ১নং সংরক্ষিত নারী সদস্য রাহেনা বেগম বলেন, নতুন ভবনে বসার জায়গা, পানি ও টয়লেটের কারণে আমরা এখানে অবস্থান করছি।
ইউপি সচিব ইলিয়াস আলী বলেন, চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জনগণের সুবিধার জন্য নতুন ভবন ও পুরাতন ভবন দুই জায়গায় কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে দুই জায়গায় অফিস থাকলে জনগণ আরও বেশি দুর্ভোগে পড়বে।
বিরামপুর ইউএনও পরিমল কুমার সরকার বলেন, আমি শুনেছি ২নং কাটলা ইউপির দুটি ভবন আছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পুরাতন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিলামের মাধ্যমে ভেঙে ফেলা হবে। নতুন ভবনটিতে অফিস পরিচালনার ব্যবস্থা করা হবে এবং সেখানে যদি কোনো সমস্যা থাকে তার সমাধান করা হবে।