ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত

আমিনুল হক, ফুলছড়ি (গাইবান্ধা)
🕐 ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২১

ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: জনবল সংকটে সেবা ব্যাহত

জনবল সংকটের কারণে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার সাত ইউনিয়নের তিন লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ৯ বছর আগে হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনও এখানে পূর্বের ৩১ শয্যার জনবলও নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রফিকুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্যসেবার মান জনবলের স্বল্পতার কারণে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা কেউই বসে থাকি না, বা বসে থাকতেও চাই না। আমরা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করছি। জনবল চেয়ে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফুলছড়ি উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বসবাস। বিপুল এই জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার জন্য রয়েছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী সাঘাটা ও সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে এই হাসপাতালে। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দিয়ে সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে এমনটি দাবি উপজেলাবাসীর।

এদিকে অধিক সেবা প্রদানের উদ্দেশে ২০১১ সালে ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এখনও কাগজ-কলমে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে হাসপাতালটি ধুঁকে ধুঁকে চলছে। চরাঞ্চলবেষ্টিত এ উপজেলার স্বল্পআয়ের মানুষেরা এ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিয়ে থাকেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসক এবং অন্য স্টাফ সংকটের কারণে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

পরিবেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে চিকিৎকরা স্থায়ীভাবে আবাসিক কোয়ার্টারে কেউ থাকেন না। ডিউটি ভাগাভাগি করে তারা হাসপাতালে কাজ চালান বাইরে বসবাস করে। তিনজন স্টাফকে সম্প্রতি অন্যত্র ডেপুটেশনে দেয়া হয়েছে। এখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই। এক্সরে থাকলেও সেটি এখন অচল। তাই চিকিৎসা নিতে সহজে কেউ এখানে আসতে চায় না।

৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও ২০ জনের বেশি রোগী কখনই এখানে ভর্তি পাওয়া যায় না বলে স্থানীয়রা জানান। ৯ জন চিকিৎসকের স্থলে মাত্র ৪ জন কর্মরত। আবাসিক মেডিকেল অফিসার, গাইনি অ্যান্ড অবস, মেডিসিন, সার্জারি ও এনেসথেসিয়া কনসালটেন্টসহ ৫টি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে।

শুধু তাই নয়, আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পদটিও দীর্ঘদিন থেকে শূন্য। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে সবধরণের যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও গাইনি অ্যান্ড অবস, মেডিসিন, সার্জারি ও এনেসথেসিয়া কনসালটেন্ট না থাকার কারণে কোন অপারেশন হয় না।

মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদুর রহমান বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকার কারণে গর্ভবর্তী মহিলাদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে আমাদের অসুবিধা হচ্ছে। বাধ্য হয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে রেফাট করতে হয় রোগিদের।

 
Electronic Paper