ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস

বিপ্লব হোসেন অপু, তারাগঞ্জ (রংপুর)
🕐 ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২১

যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস

প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অনুমোদন ছাড়াই রংপুরের তারাগঞ্জে প্রশাসনের নাকের ডগায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস। এতে যে কোনো মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে মুদি দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, ফার্নিচার, রড-সিমেন্টের দোকান, ফিলেক্সি লোডের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের নেই কোনো প্রশিক্ষণ, নেই বৈধ কাগজপত্র। বাসা বাড়িতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে তা বিক্রি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১৮টি হাটবাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় হাট তারাগঞ্জ বাজার। বিভিন্ন হাটবাজারসহ এই বাজারে ব্যস্ততম সড়কের উপর গ্যাস সিলিন্ডারগুলো সারিবদ্ধ করে রেখে তা বিক্রি করছে অনেক ব্যবসায়ী। নিতীমালা অনুযায়ী যেখানে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে ২০০ মিটার দূরে এমন পণ্য বেচা-কেনা করার নির্দেশ রয়েছে সেখানে কোন ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অনুমোদন ছাড়াই প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার।

উপজেলার তারাগঞ্জ বাজারে অবস্থিত গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ী ওয়াশীম মিয়া বলেন, আমি দুই বছর পূর্বে ফায়ার সার্ভিস অফিস থেকে একটি ছাড়পত্র ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড-লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছি। আমার দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলে একটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রও আছে। তবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের নিয়ম কানুন মেনে ব্যবসা পরিচালিত করা দরকার বলে আমি মনে করি।

তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার খতিবুর রহমান বলেন, অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে খুচরা বিক্রির জন্য মাত্র ১০টি গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার রাখা যায়। কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ীরা আইন-কানুন মানছেন না। অনেকে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন। এই ট্রেড লাইসেন্স গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বৈধ লাইসেন্স নয়।

আমার জানা মতে, উপজেলার কয়েকশ সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীর মধ্যে হাতেগোনা কয়েক জনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র রয়েছে। বাকী সব ব্যবসায়ী দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছেন। তাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে তাদের মৌখিক ভাবে সতর্ক করা হচ্ছে।

তারাগঞ্জ ইউএনও আমিনুল ইসলাম বলেন, যারা লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে যত্রতত্র রাস্তার উপর এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

 
Electronic Paper