জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর সরকারি স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

সিদ্ধান্ত অনুসারে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা অনলাইনে লটারিতে আবেদন করে। কিন্তু ১১ বছর বয়স বেধে দেওয়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুরা পড়ে বিপাকে। পরবর্তীতে শিথিল করা হলে ১১ বছরের বাধ্যবাধকতায় বিপাকে পড়ারাও আবেদনের সুযোগ পায়। কিন্তু গত ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত লটারিতে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত হলেও বয়সের বাধ্যবাধকতায় বিপাকে পড়া আবেদনকারীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না।

একজন অভিভাবক জানান, তার সন্তান লটারির মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায়। কিন্তু ভর্তি হতে গেলে সার্ভারের সঙ্গে অনলাইনে জন্ম তারিখের মিল না পাওয়ায় ভর্তি না নিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয় হয়। জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, জন্ম নিবন্ধন সার্ভার হালনাগাদের কাজ চলছে। সংশোধন হতে প্রায় তিন মাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু এর আগেই স্কুলে ভর্তি কার্যক্রমের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। আরও অনেকেই এমন অভিযোগ করে বলেন, ভর্তি হতে না পারলে তাদের সন্তানের শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পরবে মূল্যবান একটি বছর। তাই সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন।

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক জানান, জন্ম তারিখ ভুল থাকায় সার্ভারে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করনীয় নেই। তবে যাদের এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে তাদের আগামী ১৯ জানুয়ারির পর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।