বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা
সকালে নামঞ্জুর বিকালে জামিন
মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)
🕐 ১২:০৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকার কয়লা চুরির ঘটনায় জামিন নামঞ্জুরের পরদিনই জামিনে মুক্ত হলেন বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোং লিমিটেডের সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুর জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্ত হন।
বুধবার দুপুরে দিনাজপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ৬ এমডিসহ ২২ কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন এবং বিকালেই তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সন্ধ্যায় আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বিচারক আবারও তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। পরে সেই জামিন আদেশের কপি জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের পর আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছলে বুধবার তাদের কারাগারেই কাটাতে হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান জাহানী বলেন, সম্প্রতি জামিনের নিষেধাজ্ঞা এনে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছে। সেই রিটের বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সেই অবস্থাতে বুধবার ২২ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন দিনাজপুর স্পেশাল জজ আদালত। পরে উচ্চ আদালতের বিচারাধীন রিটের কাগজপত্র স্পেশাল জজ আদালতে উপস্থাপন করা হলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন একই আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন সাবেক ছয় এমডি মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্দ্রনাথ বর্মণ, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা করেন। চার্জশিট দাখিলের পর সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান মারা যান।