রমেক হিমঘরে বেওয়ারিশ ৬ লাশ
রংপুর অফিস
🕐 ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ, মে ০৯, ২০১৮
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রমেক) হিমঘরে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বেওয়ারিশ হিসেবে পড়ে রয়েছে ৬টি লাশ। এসব লাশের দাফন কবে নাগাদ হবে তা কেউই বলতে পারছে না।
আর বেওয়ারিশ লাশ দাফনের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মুখ্য ভ‚মিকা থাকলেও তারাও রয়েছে নীরব। এসব জটিলতায় লাশের শেষকৃত হচ্ছে না। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এসব মানুষের পরিচয় উদঘাটনেরও কোনো চেষ্টা করা হচ্ছে না।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর ধরে রমেক হাসপাতালের হিমঘরে দুই নারী এবং চার পুরুষের লাশ পড়ে আছে। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৪৫ বছর। সব লাশ বেওয়ারিশ। রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালেই তারা মৃত্যুবরণ করেন। দাবিদার না থাকায় লাশগুলোর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের হিমঘরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতাল কিংবা রাস্তাঘাটে বেওয়ারিশ লাশ পাওয়া গেলে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম উদ্যোগী হয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সেগুলো দাফনের ব্যবস্থা করে। কিন্তু রংপুরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের নেই কোনো কার্যক্রম। তবে রংপুর পুলিশের সহযোগিতায় সিটি করপোরেশন বেওয়ারিশ লাশের দাফনের ব্যবস্থা করে থাকে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এসব লাশের শেষ ঠিকানা কোথায় হবে এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের উদয় হয়েছে। পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করা হলে স্বজনেরা হয়তো লাশের মুখ দেখতে পেতেন। তারাই লাশ নিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু লাশের পরিচয় উদঘাটন কিংবা লাশের শেষকৃত কোনোটাই হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতায়।
রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, এসব লাশের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি খোঁজ নিয়ে দ্রুত এসব লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় জানান, বিষয়টি আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। আইনগত জটিলতার কারণে এসব লাশ দাফনের বিষয়টি আটকে আছে।
রংপুর আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি আবদুল জলিল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেওয়ারিশ লাশ এত দিন রাখার নিয়ম নেই। সংশ্লিষ্ট থানায় ইউডি মামলা করে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম অথবা সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে দাফন করতে হবে। তিনি দ্রুত লাশগুলো দাফনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।