ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

আদিতমারী উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ

আদিতমারী (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
🕐 ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ০১, ২০২০

লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের সাথে অসদাচরন,দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকী প্রদান ও বিভিন্ন দপ্তরে আর্থিক বিষয়ে অনৈতিক দাবী প্রতিষ্ঠিত চেষ্টাসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে পরিষদের প্যানেল ও ভাইস চেয়ারম্যান চিত্ত রঞ্জন সরকারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা হলরুমে মাসিক সভায় সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতীতে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন ভিত্তিতে পরিষদের কার্য্যক্রম পরিচালনার করার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়।

আদিতমারী উপজেলা নির্বহী অফিসার (ইউএনও)  মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, যেহতেু স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মাসিক সমন্বয় সভায় বিশেষ বর্ধিত সভায় সবার উপস্থিতীতে প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে পরিষদ পরিচালনার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এই মর্মে একটি চিঠি মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে এবং সদ্য বরখাস্ত চেয়ারম্যানকে তিনদিনের মধ্যে তার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চিঠি প্রদান করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) মাসিক সমন্বয় সভায় ভিজিডি ও মাতৃত্ব ভাতার তালিকায় নিজের অংশ দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। যা বিধি সম্মত না হওয়ায় ইউএনও নাকোচ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সভা অসমাপ্ত রেখে চলে যান চেয়ারম্যান। এরপর চেয়ারম্যান ইউএনও অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরা লোক দিয়ে খুলতে গেলে তার ছবি তোলেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। একইসঙ্গে ক্যামেরা খুলে ফেলার কারণ জানতে চাইলে ইউএনওকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করা হয় ‘(বেশি কথা বললে পিটিয়ে নরসিংদী পাঠিয়ে দেবো। উপজেলা পরিষদ কি তোর বাবার সম্পত্তি, উপজেলা পরিষদ কি তুই চালাবি?)’। এভাবে গালমন্দ করা হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতে ইউএনওসহ ১৮জন অফিসার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে গণস্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি তদন্ত করে ১৬ নভেম্বর ৩৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে পাঠায় জেলা প্রশাসন। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে মঙ্গলবার(২৪ নভেম্বর) সরেজমিন তদন্ত করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওহাব ভূঞা।

তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে উপ-সচিব নুমেরী জামানের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন যার স্বারক নং-৪৬.০০.০০০.০৪৬.২৭.০৩৬.২০২০-৯৪৮ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল এবং বর্নিত উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-০১ কে উপজেলা পরিষদের কার্য্যক্রম পরিচালনার করার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হল। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করে এবং তা কার্যকর করতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরন করে।

 

 
Electronic Paper