ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

ফার্মেসি হবে মডেল মেডিসিন শপ

নীলফামারী প্রতিনিধি
🕐 ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২০

বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘ওষুধ ফার্মেসি স্থাপন করতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট ছাড়াই যেসব ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে তা আইননুযায়ী অবৈধ। ওইসব অবৈধ ফার্মেসিতে কোনো ওষুধ কোম্পানি ওষুধ সরবরাহ করতে পারবে না। তাই ড্রাগ লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্ট ছাড়া যেসব ওষুধের দোকান চালু আছে তা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের বাটার মোড়ে মডেল ফার্মেসি এবং বড়বাজারে মডেল মেডিসিন শপ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সব ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসি বা মডেল মেডিসিন শপে রূপান্তর করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মডেল ফার্মেসি এবং প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মেডিসিন শপ স্থাপনের পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে দেশের ৩৭ হাজার মডেল মেডিসিন শপ এবং ৫০০ মডেল ফার্মেসি স্থাপন করা হয়েছে এবং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ বাংলাদেশে বিশ^মানের ওষুধ তৈরি

হয় উল্লেখ্য করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, দেশের চাহিদার ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশীয় কোম্পানির উৎপাদিত ওষুধ দিয়ে পূরণ করা হয়। এবং আমাদের দেশের উৎপাদিত ওষুধ বিশ^মানের। বর্তমানে আমাদের উৎপাদিত ওষুধ বহির্বিশে^র ১৪৮টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের মানসম্মত ওষুধ তৈরি হয়। যখন এই ওষুধ বিতরণ পর্যায়ে আসে মানুষ যেখান থেকে ক্রয় করে সেই জায়গায় ওষুধের গুণগতমান ঠিক আছে কিনা সেটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘মডেল ফার্মেসি, মডেল মেডিসিন শপ’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিত থাকবে। রোগী কিংবা তার স্বজন গুণগত ও মানসম্মত ওষুধ যাতে ক্রয় করতে পারেন সেজন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

এ সময় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক অজিউল্লা, জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, শফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ বলেন, নীলফামারী জেলায় প্রায় দেড় হাজার ফার্মেসি রয়েছে। এরই মধ্যে এক হাজার নিবন্ধিত এবং বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। সব প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ফার্মাসিস্ট দ্বারা যাতে ওষুধ বিক্রি করা হয় এজন্য আমাদের সমিতি কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা শহরে বাটার মোড়ে অবস্থিত সৈকত ফার্মেসিকে জেলার একমাত্র মডেল ফার্মেসি এবং বড়বাজারের করিম ফার্মেসি, জামান ফার্মেসি এবং রাশেদ ফার্মেসিকে জেলার মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে রূপান্তরিক করা হয়েছে।

এরপর দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে “মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিন শপ-এর প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা এবং নকল, ভেজাল, আন-রেজিস্ট্রার্ড ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রতিরোধে” মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির, পুলিশ সুপার মোখেলেছুর রহমান বিপিএম, পিপিএম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক সালাউদ্দিন, সহকারী পরিচালক অজিউল্লা, জেলা কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সবুজ, সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম, তোবারক আলী, শফিউল আলম বক্তব্য রাখেন।

 
Electronic Paper