ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পাটগ্রামে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা

দোষীদের শাস্তি দাবি

রংপুর অফিস
🕐 ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২০

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে আবু ইউনুছ মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ঘটনার দিন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকেও হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে পারেনি। উপজেলা চেয়ারম্যানের উসকানিমূলক বক্তব্য পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করেছে। ইউপি সদস্য হাফিজুল ইসলাম মসজিদ থেকে সহিদুন্নবী জুয়েলকে মারপিট করে জামার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু জুয়েল হত্যাকাণ্ড মামলায় তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর নগরের শালবন এলাকার নবী ভিলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। লিখিত বক্তব্যে এলাকাবাসীর পক্ষে সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী বলেন, কোরআন অবমাননার মিথ্যা অভিযোগে জুয়েলকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাষ-রা ওর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলেছে। প্রকাশ্যে সংঘটিত এ ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। হামলাকারীরা উল্লাস করেছে। ঘটনার ছবি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেছে। একটি সভ্য সমাজে আর গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসনের দেশে এরকম ঘটনা বিস্ময়কর, অভাবনীয় ও গভীর উদ্বেগজনক।

এসময় জুয়েলকে কোরআন অবমাননার অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া, হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার নিশ্চিত করা এবং জুয়েলের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেওয়ার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে জুয়েলের প্রকৃত হত্যাকারী যারা এখনো গ্রেফতার হয়নি, তাদের গ্রেফতারে চলমান প্রক্রিয়া জোরদার করা, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করা এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে জুয়েল হত্যার মামলাটি রংপুরে হস্তান্তর করার দাবি তোলেন নিহতের স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে জুয়েলের স্ত্রী, দুই ছেলে মেয়ে, বোন ভাইসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। নিহত জুয়েল রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক লাইব্রেরিয়ান।

 
Electronic Paper