ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সবুজ লতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
🕐 ৫:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ০৮, ২০২০

হেমন্তের মৃদু হাওয়ায় শিম ক্ষেতে দুলছে থোকা থোকা ফুল। এসব ফুলের মাঝে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। নানা দুর্যোগ পেরিয়ে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। 

সরেজমিনে ৮ নভেম্বর, রোববার দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের কৃষকের মাঠে দেখা গেছে শিমফুলের স্বর্গরাজ্য। এই মাঠে সবুজ লতার ফাঁকে রাঙিয়ে উঠেছে পুরো ক্ষেত।

জানা যায়, ধাপেরহাট ইউনিয়নের বোয়ালীদহ গ্রামের মৃত্যু মোজাম্মেল হকের ছেলে মতলুবর শেখ চাষ করেছে চ্যাপ্টা জাতের শিম। গত আগস্ট মাসে ৬০ শতক জমিতে শিমবীজ বপন করেন তিনি। এখন এসব বীজ ফুটিয়ে গাছগুলো উঠেছে মাচায়। এ গাছের লতা-পাতায় ভরে গেছে পুরো ক্ষেত। এই ক্ষেতে ফুটেছে থোকা থোকা ফুল ও ফল। ফলে দেখা দিয়েছে অধিক ফলনের সম্ভাবনা। সপ্তাহ খানেক পর থেকে কয়েক দফায় নিতে পারবে স্বপ্নের এই ফসল। শীতের সবজি হিসেবে এখানকার বাজারে শিমের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। সেই সঙ্গে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে শিমের দামও রয়েছে ভালো।

বর্তমানে প্রতি কেজি শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ থেকে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন মতুলবুর শেখ। শুধু মতলুবর শেখই নয়, ধাপেরহাট এলাকার আরো শত শত কৃষকও চাষ করেছে নানা জাতের শিম। তারাও ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার আশা করছেন।

আদর্শ কৃষক মতলুবর শেখ বলেন, শীতকালীন ফসল হিসেবে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৬০ শতক জমিতে আবাদ করা হয়েছে চ্যাপ্টা জাতের শিম। এতে সার-কিটনাশক ও শ্রমিকসহ যাবতীয় খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আশানুরূপ ফলন ও দাম পাওয়া গেলে প্রায় লক্ষাধিক টাকার শিম বিক্রি করা সম্ভব।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বলেন, অত্যান্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি শিম। যার ফলে বাজারে এটির চাহিদা বেশী। তাই কৃষকরা যাতে করে লাভবান হতে পারে, সেবিষয়ে তাদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

 
Electronic Paper