ফুলছড়ি-শিবচরে নদী ভাঙন
ফুলছড়ি ও শিবচর প্রতিনিধি
🕐 ৯:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ০১, ২০২০
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধির গতি মন্থর হলেও নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে মাদারীপুরের শিবচরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক স্কুল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। নদী ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত রোববার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত কয়েক দিনের তুলনায় পানি বৃদ্ধির গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। বৃষ্টি না হলে দুই একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিগাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা নূর হোসেন সরকার বলেন, জিগাবাড়ীর স্থাপনাগুলো রক্ষায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ড্যাম্পিংয়ের কাজ চলছে। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতির কারণে কাজ ধীরগতিতে করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যে জিগাবাড়ী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জিগাবাড়ী এলাকার স্থাপনাগুলোর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পের ৪০০ মিটার এলাকায় স্থাপনাগুলোর ভাঙন স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ড্যাম্পিং না করে অপরিকল্পিতভাবে কিছুটা দূরে কাজ করা হচ্ছে। যা গত বছরও করা হয়েছিল। এজন্যই নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিবচরের বন্দরখোলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিলীন হয়েছে গত বছরে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ। এছাড়াও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও বাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ।
মাদারীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাখাওয়াত হোসেন জানান, স্থাপনাগুলো রক্ষায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। ডাম্পিং এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ হলেও সামনের এলাকায় নদী ব্যাপক ভাঙছে।