বৃষ্টিতে ডুবেছে ফসল
বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
🕐 ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০
টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের পানিতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলায় জমির পাকা ধান ও ভুট্টা ডুবে গেছে। এতে চরম দুঃচিন্তায় ভুগছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার উপজেলার একটি পৌর এলাকা ও ছয়টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে পাকা ধান ৯০ হেক্টর ধান পানিতে ডুবে গেছে।
এছাড়া ভুট্টার লক্ষ্যমাত্রা ১৫৫ হেষ্টর। অর্জিত হয়েছে ১৪৭৫ হেষ্টর। পানিতে ডুবে গেছে ৩৫০ হেষ্টর। ধানের চেয়ে ভুট্টার বেশী ক্ষতি হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের বৃষ্টির প্রভাবে উপজেলার মাঠের অধিকাংশ কৃষকের বোরো ধান পানিতে ডুবে একাকার হয়ে গেছে। এ যেন কৃষকের মাথায় হাত দেয়ার মত অবস্থা। অনেকের পাকা ধান কোমর পানিতে ডুবে রয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টিতে এসব ধান, ভুটা পানিতে ডুবে যায়। বৃষ্টির পানিতে পাকা ধানের শীষ এখন সেই পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঠের পাকা বোরোধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। শুধু তাই নয়, অনেক মাছ চাষির পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।
৪ নম্বর আটগাঁও ইউনিয়নের কাকদুয়ার গ্রামের কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ২ বিঘা জমির ধান পানিতে ডুবে গেছে। জানিনা ধানের কি দষা হবে। ধানগুলো কাটতে পারবো কি পারবোনা এই নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।
একই ইউনিয়নের বরগাঁ গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, আমার জমিতে এখনো ৩ বিঘা পাকা ধান কাঁটার বাকী আছে। পানিতে ধান ডুবে থাকার কারনে ধান কাঁটতে পারছিনা।
৩ নম্বর মুশিদহাট ইউনিয়নের পূর্ব বর্ষা গ্রামের হেমন্ত কুমার জানান, আমার ৮ বিঘা জমির ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি না কমলে জমির ধান কাঁটা সম্ভব হবে না। একই ইউনিয়নের হরিশচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মাসুদ জানান, তার ৩ বিঘা জমির ধান এখনো পানিরে নিচে।
বোচাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি হওয়ায় উপজেলায় প্রায় ৯০ হেক্টর জমির বোরো ধান ও ৩৫০ হেষ্টর ভুট্টা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। তবে দুই-একদিনের মধ্যে পানি শুকিয়ে গেলে ধান, ভুট্টা কাটতে পারলে কৃষকের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না।
এদিকে, বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনসুর আলীসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলার ১নং নাফানগর, ২নং ইশানিয়া, ৪নং আটগাঁও, ৫নং ছাতইল ও ৬নং রনগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন পানি বন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন।