ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

সেতু নির্মাণের আট মাসেই পাটাতনে ধস

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
🕐 ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মে ০৬, ২০১৮

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সেতু নির্মাণের মাত্র আট মাসের মধ্যে পাটাতন ধসে গেছে। এতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সেতুটি। এরপরও ঝুঁকি নিয়ে পথচারী ও যানবাহন যাতায়াত করছে প্রতিনিয়ত।

এলাকাবাসী ও পথচারীরা জানান, নাজিমখান থেকে রতিগ্রাম যাওয়ার পথে বাছরা ঈদগাহ মাঠেরপাড়নামক এলাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। এরপর কর্তৃপক্ষ জনসাধারণের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়। কিন্তু নির্মাণের মাত্র দুই মাস অতিবাহিত না হতেই সেতুর পাটাতনে ফাটল দেখা দেয়। বিষয়টি ঠিকাদার জানার পর তড়িঘড়ি করে ফাটলের স্থানগুলোতে সিমেন্ট-বালু দিয়ে রাতারাতি ঢেকে দেয়। কিন্তু ছয় মাস অতিবাহিত না হতেই সেতুর পুরো পাটাতন ধসে পড়ায় তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। যে কোনো সময় পাটাতনের পুরো ঢালাই ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, পাঁচ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ টাকা ব্যয়ে নাজিমখান জেসি হতে রতিগ্রাম জেসি পর্যন্ত ৭.৭৫ কিলোমিটার রাস্তাসহ দুটি বক্স কালভার্ট ও একটি ক্রস ড্রেনের কাজ ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু কার্যাদেশ মোতাবেক কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বারবার ওই প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য তাগাদা দিয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এরপর তড়িঘড়ি করে রাস্তাটির কাজ বাদ দিয়ে শুধু সেতুর কাজ সমাপ্ত করে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম, ফুল মিয়া, সাহেব আলী ও রোস্তম জানান, সেতুটি নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ইস্টিমেট অনুযায়ী, কাজ হয়নি। যার ফলে সেতুটি তৈরি করার পরপরই ফাটলসহ নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। সর্বশেষ গত ১ মে সেতুটির পাটাতন ধসে যায়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, হাওয়া তৈরি হওয়ার কারণে সেতুটির প্যাটার্নস্ট্যান্ড উঠে গেছে।
রাজারহাট উপজেলা প্রকৌশলী জি কে এম আনোয়ারুল আলম বলেন, ‘আমি সেতুটি দেখে এসেছি। রাস্তার সিমেন্টের মিশ্রণ তৈরি করায় সেটা উঠে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’

 
Electronic Paper