ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

কয়লাখনির ১০৭ জনকে বিনা বেতনে ছুটি

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
🕐 ৭:১৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ০২, ২০২০


দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ১০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ১৫ জুন পর্যন্ত বিনা বেতনে ছুটি প্রদান করেছে খনি কর্তৃপক্ষ। গত রোববার খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহম্মদ ছানা উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক পত্রে ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটিতে পাঠানো হয়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির সময় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন ভাতা পেলেও ছুটি শেষে কাজে যোগদান করতে গেলেই বিনা বেতনে ছুটির নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খনির তৃতীয় পক্ষকে (মেসার্স ব্লু স্টার সার্ভিসেস লি.) দেওয়া ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ মার্চ থেকে এসব শ্রমিক খনি এলাকার বাইরে অবস্থান করছেন। কয়লাখনির নিরাপত্তা এবং কোম্পানি এলাকায় বসবাসরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবার পরিজনকে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থেকে রক্ষা জন্য শ্রমিক ছাড়াও কোম্পানি এলাকার বাইরে অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকেও কোম্পানি এলাকায় প্রবেশের অনুমতি না প্রদানের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি, সিএমসি কনসোর্টিয়াম, বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ প্রদান করেছেন।

এদিকে, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম রবি এ প্রতিনিধিকে বলেন, আউটসোর্সিং-এর ১০৭ জন শ্রমিক ছাড়াও ১১৪৭ জন বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত আছেন। গত ২৬ মার্চ থেকে সাকল্যে ৬৬টি দিন মোট ১২৫৪ জন শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণাকালে তারা মার্চ মাসের বেতন প্রাপ্য ছিলেন। এছাড়াও তাদেরকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শতকরা ৬০ ভাগ বেতন প্রদানের কথা ছিলো। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো কিছুই করেনি তাদের জন্য। ১ জুন কয়লাখনির সকল শ্রমিক খনির গেটে অবস্থান গ্রহণ করবেন বলে এই শ্রমিক নেতা জানিয়েছেলেন।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের উপ-মহাব্যাবস্থাপক (প্রশাসন) মোহম্মদ ছানা উল্লাহ জানান, এসব কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ আছে বেতন আছে, কাজ নেই বেতন নেই ভিত্তিতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োজিত। চুক্তি অনুযায়ী সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে তারা বেতন ভাতা পেয়েছিল। এখন যেহেতু সাধারণ ছুটি নেই এবং খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাহিরে অবস্থানরত কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক কাউকেই ভেতরে প্রবেশে আপত্তি জানিয়েছে। তাই তাদেরকে কাজে যোগদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে তাদেরকে ১৫ দিনের বিনা বেতনের ছুটি প্রদান করা হয়।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ জানান, বড়পুকুরিয়া খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি সিএমসি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে আলোচনা করে এসব শ্রমিকদের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।

 
Electronic Paper