ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১

Khola Kagoj BD
Khule Dey Apnar chokh

পীরগাছায় বেকার জেলে ও নৌশ্রমিক

তাজরুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর)
🕐 ১০:৩০ পূর্বাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০

এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদীতে পানি নেই। যে তিস্তায় এক সময় ছিল উত্তাল ঢেউ। সেখানে এখন ধু ধু বালুচর। নব্যতা হারিয়ে তিস্তা নদী এখন মরা নদীতে পরিনত হয়েছে।

পানি না থাকায় নদী বেষ্টিত ৪ হাজার জেলে ও নৌ শ্রমিক এখন বেকার। করোনা পরিস্থিতিতে তারা পড়ছেন চরম বিপাকে। না পারছেন কাজ করা জন্য অন্য জেলায় যেতে, না পারছেন রিকশা-ভ্যান চালাতে। ঘর বন্দি জেলে পরিবারগুলো বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ অবস্থা পীরগাছার বুড়াইল, মাষাণকুড়া, আলাইকুমারী ও ঘাঘট নদের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারগুলোর।

জানা গেছে, পীরগাছার উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা, বুড়াইল, মাষাণকুড়া, আলাইকুমারী ও ঘাঘট নদীর উপর নির্ভরশীল প্রায় ৪ হাজার জেলে পরিবার। তারা বছরের ৬ মাস এসব নদীতে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। আর বাকি ৬ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান কাটা, রিকশা-ভ্যান চালানোসহ নানা ধরনের কাজ করতো।

বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে তারা এখন বেকার। নদীতে পানি নেই, হাতে কাজ নেই, বাইরে যাওয়াও বন্ধ। ফলে কাজে যেতে না পেয়ে জেলে পরিবারগুলোতে চলছে দুর্দিন। সরকারি-বেসরকারি ভাবে কিছু পরিবারকে সামান্য কিছু ত্রাণ দেয়া হলেও তা কয়েক দিনে শেষ। এরপর ধার -দেনা করে জর্জরিত হয়ে পড়ছে পরিবারগুলো।

পীরগাছার ছাওলা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ে বসবাস করা মোকলেছ, শাহীন ও নিতাই চন্দ্রসহ অনেকে বলেন, বর্ষা মৌসমে নদীতে মাছ ধরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। আর বাকি দিনগুলোতে রিকশা-ভ্যান চালানোসহ বোরো মৌসুমে ধান কাটতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাই। এক মাস কাজ করলে ২-৩ মাস চলে যায়।

এ বছর করোনা’র কারণে বাইরে যেতে পারছি না। বেকার অবস্থায় বসে আছি। ধার-দেনা করে চলছি কোন মত।

ছাওলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হাকিম বলেন, নদী বেষ্ঠিত এলাকার অনেকের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি এলাকায় শ্রেণি ভিত্তিক তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা পেলে যাচাই-বাচাই করে আবারো ত্রাণ দেয়া হবে।

 

 
Electronic Paper